বিশ্বকাপ বা বড় কোনো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বরাবরই হতাশার। বড় মঞ্চের চাপেই কিনা বারবার যেন মুখ থুবড়ে পরে বাংলাদেশ। প্রস্তুতিতেও ঘাটতি থাকে। দেশের মাটিতে স্পিন সহায়ক পিচ বানিয়ে ম্যাচ জয়ের ছক কষা বাংলাদেশ বড় আসরের ট্রু উইকেটে গিয়ে তাল মিলাতে পারে না। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাস এই ছক থেকে বেরুতে চান।
ম্যাচ জয়ের ছক কষতে স্লো উইকেট বানাতে নয় বরং ট্রু উইকেট বানিয়ে ক্রিকেটারদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করতে চান। বিশ্বকাপের আগেই চ্যালেঞ্জ নিতে অভ্যস্ত হলে বিশ্বকাপে গিয়ে ভালো করতে পারবেন ক্রিকেটাররা, এমন ভাবনা বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের।
আগামীকাল থেকে আরেকটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা শুরু হওয়ার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন বলেন এসব কথা।
লিটন বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে আমাদের হাতে বেশি একটা সময় নেই। সম্ভবত এখানে তিনটা আর আয়ারল্যান্ড (সিরিজ) তিনটা, আমরা চেষ্টা করব খুব ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য এবং যেন আমরা সবাই চ্যালেঞ্জ অনুভব করি।’
‘সত্যি কথা বলতে আমি দুইটা সিরিজেই চাই যেন আমাদের খেলোয়াড়রা খুব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সেটা ব্যাটিংয়ে হতে পারে, বোলিংয়ে হতে পারে। আমি চাই যে এই ছয়টা ম্যাচ থেকে যতটা আমরা আমরা পিছিয়ে থাকবো, ব্যাকফুটে থাকবো, ততটাই ভালো। এর মানে যে চ্যালেঞ্জের কথা বলছি, এটা না যে আমরা খেলায় পিছিয়ে থাকবো। আমি চাই যে বোলারা যখন বল করবে, তারা যেন চাপে থাকে। সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, যে জিনিসগুলো সেখানে আমার অনেকটা সাহায্য করবে।’- যোগ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বড় টুর্নামেন্টে সাফল্য পেতে হলে ট্রু উইকেটে খেলার বিকল্প নেই মনে করছেন লিটন, ‘এখন আমরা চেষ্টা করতেছি ভালো উইকেটে খেলার জন্য। আপনি যখনই ভালো উইকেটে খেলবেন, ব্যাটসম্যানদের সফল হওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে। আর যতগুলা খেলোয়াড় আছে, বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অনেক বড় বড় ছয় মারতে পারে। তো এটা একটা বাংলাদেশ টিমের জন্য ইতিবাচক। একইসঙ্গে ক্রিকেট শুধু ছয়-এর উপর দিয়ে গেলে হবে না, আপনাকে স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে। যদি প্রয়োজন পড়ে ছয় মারার, মারবে। না হলে সিঙ্গেল ডাবলে যেতে পারি।’
দেশ-বিদেশ মিলিয়ে টানা তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছেন অধিনায়ক লিটন। কাল শুরু হচ্ছে আরেকটা সিরিজ। নিশ্চয় সাফল্যটা ধরে রাখতে চাইবে লিটনের বাংলাদেশ।