শুরুতে এক উইকেট হারালেও পরে শেই হোপ ও অলিক অ্যাথানেজের ব্যাটে রীতিমতো উড়ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১তম ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে একশ পেরিয়ে যায় কারিবিয়ানরা। তবে তারপর সফরকারীদের লাগাম টেনে ধরতে পেরেছে বাংলাদেশ। পরপর উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলে দেন বাংলাদেশি বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ১৪৯ রানে থেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
একটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ১ উইকেটে ১০৬। সেখান থেকে ১২ রানের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাঁচ উইকেট তুলে নেন নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমানরা। শেষ ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের আবারও নাস্তানাবুদ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফলে দুর্দান্ত শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর গড়তে পারেনি সফরকারীরা।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা কিন্তু ভালো হয়েছিল। আগে বোলিং করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ব্রেন্ডন কিংকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। তারপরই শেই হোপ আর অলিক অ্যাথানেজের প্রতিআক্রমণ। বাংলাদেশের স্পিন, পেস কোনো আক্রমণই থামাতে পারছিল না দুজনকে।
১২তম ওভারে গিয়ে জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। শুধু জুটি ভাঙা নয়, পর পর দুই উইকেট তুলে নেন নাসুম। ৩৩ বলে ৫টি চার ৩টি ছয়ে ৫২ রান করে ফেরেন অলিক অ্যাথানেজ। পরের বলে রাদারফোর্ডকে ফেরান নাসুম। ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে দুর্দান্ত খেলতে থাকা শেই হোপকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ফেরার আগে ৩৬ বলে ৩টি করে চার-ছয়ে ৫৫ রান করে ফেরেন হোপ।
ক্যাবিয়ানদের ওপর আরও চাপ বাড়ান রিশাদ হোসেন। ১৫তম ওভারে আক্রমণে এসে তিন বলের ব্যবধানে রভম্যান পাওয়েল (৩) ও জেসন হোল্ডারকে (৪) ফেরান রিশাদ।
এরপর রোস্টন চেজ ও রোমারিও সেফার্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেশি এগুতে পারেননি। শেষ ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের দেড়শ’র আগেই আটকে রাখেন মোস্তাফিুজর রহমান।
২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে থেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। রিশাদ ৩ ওভারে ২০ রান ও নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। ১ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।