পেলেকে ছুঁতে পারবেন এমবাপ্পে?
১১ জুলাই ২০১৮ ১৭:৫২
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
রাসুন্ডা স্টেডিয়াম। সুইডেনের মাটিতে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। সালটা ১৯৫৮। ইউরোপের শক্তিশালী ও মারমূখী সুইডেনের মাটিতে মারিও জাগালোর শিষ্যরা। ১৭ বছরের টগবগে তরুণ পেলে সেমি ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে ফাইনাল খেলতে নেমেছেন। ছন্দময় জিঙ্গা দিয়ে এই গারিঞ্চা ও পেলেরাই ভয়ংকর আয়োজক দলের জালে বল জড়িয়েছে গুনে গুনে ৫টি।
ফ্রান্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা কালো মানিক ফাইনালেও পেয়েছেন জোড়া গোল। সুইডেনের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে ব্রাজিলকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের স্বাদ উপহার দিয়েছেন এই ফুটবল সম্রাট। সেই পেলের পরে অনেক পেলে এসেছে ব্রাজিলের হয়ে। কেউ তার সেই জায়গা দখল করতে পারে নি।
তবে, এবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিস্ময়বালক কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দেখে অনেকেই পেলের সঙ্গে তুলনায় টানছে। রাশিয়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে তার জোড়া গোলে আর্জেন্টিনাকে হটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স। শিরোপা থেকে শুধু এক পা দূরত্বে অবস্থান করছে দলটি।
ক্রোয়েশিয়া বা ইংল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে এমবাপ্পেরা। আর পেলের রেকর্ড ছোঁয়ার সুযোগ সামনে পিএসজির এই তরুণ ফুটবলারের।
১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে পেলে নক আউট পর্বে ছয়টি গোল করেছেন। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম এবং তরুণ ফুটবলার হিসেবেও প্রথম। কোয়ার্টারে তার একমাত্র গোলে সেমি নিশ্চিত করেছিল ব্রাজিল। ফ্রান্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে ফাইনালে পা রেখেছিল সেলেসাওরা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সুইডেনকে গোলবন্যায় ভাসানোর পেলের পা অবদান রেখেছিল সবচেয়ে বেশি। জোড়া গোল করেছিলেন তিনি।
এমবাপ্পের সামনেও সেই রেকর্ড অপেক্ষা করছে। নক আউট পর্বে দুই ম্যাচে জোড়া গোল করার রেকর্ড বা গোল করার রেকর্ড। বেলজিয়াম বাধা পার করা ফ্রান্স টগবগেই আছে। এমবাপ্পেও আছেন ফুরফুরে। পেলের রেকর্ড ছোঁয়ার মাধ্যমে হয়তো দ্বিতীয় বিশ্বকাপের মুখ দেখতে পারে ফ্রান্স।
তাই বলা হয়, ফুটবলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। এমবাপ্পে যেভাবে খেলে যাচ্ছেন তাতে চার বিশ্বকাপে পেলের ১২ গোলের রেকর্ড হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সারাবাংলা/জেএইচ