ইংল্যান্ডকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া
১২ জুলাই ২০১৮ ০০:০৪ | আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ০২:৪৬
স্পোর্টস ডেস্ক।।
১৯৯৮ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। সেই সোনালী প্রজন্ম সেটা পারেনি, দ্বিতীয় সোনালী প্রজন্ম করে দেখিয়েছে সেটাই। অতিরিক্ত সময় শেষে ২-১ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে উঠে গেছে স্বপ্নের ফাইনালে। রোব বার সেই ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। আর ১৯৬৬ সালের পর আরেকটি বিশ্বকাপ ফাইনাল মরীচিকাই হয়ে রইল ইংল্যান্ডের কাছে।
ম্যাচের ৫ মিনিটেই কাইরন ট্রিপিয়ের এগিয়ে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। প্রথমার্ধে ইংলিশদেরই দাপট ছিল, তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরেছে ক্রোয়েশিয়া, ইভান পেরিসিচের ৬৮ মিনিটের গোলে সমতা ফিরিয়েছে। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে ১-১ গোলে, খেলা গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। যোগ করা সময়ের ১০৯ মিনিটে কাঙ্খিত সেই গোলের দেখা পেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ইংলিশ রক্ষণের ভুলে বক্সের ভেতর বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ শটে বল জালে জড়িয়ে দেন মারিও মানজুকিচ।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া। এর আগে বড় আসরে দুই দলের দেখা হয়েছিল শুধু একবার। ২০০৪ ইউরোর সেই দেখায় ইংল্যান্ড ৪-২ গোলে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়াকে।
আজকের ম্যাচের দলের আগে ক্রোয়েশিয়ায় আছে শুধু একটি পরিবর্তন। ক্রামারিচের জায়গায় দলে এসেছেন ব্রোজোভিচ। ইংল্যান্ড শুরু করছে আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই।
ম্যাচের ৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। বক্সের ঠিক বাইরে ফাউল করা হয়েছিল ডেলে আলিকে, ফ্রিকিক পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত এক কিকে কাইরন ট্রিপিয়ের এগিয়ে দেন থ্রি লায়ন্সকে। দেশের হয়ে এটি ট্রিপিয়রের প্রথম গোল।
১৪ মিনিটে আরও একটা সুযোগ পেয়েছিলেন হ্যারি ম্যাগুইরে। কিন্তু তাঁর শট একটুর জন্য চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।
১৮ মিনিটে পেরিসিচ দূর থেকে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি চলে যায় পোস্টের পাশ ঘেঁষে।
৩০ মিনিটে আরেকটু হলেই আবার এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। বক্সের ভেতর ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক সুবাসিচকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক কেইন, কিন্তু তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন সুবাসিচ। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন কেইন।
৩২ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন রেবিচও। কিন্তু তাঁর বাঁ পায়ের শট সরাসরি চলে যায় ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের হাতে।
৩৬ মিনিটে জেসে লিনগার্ড বক্সের ঠিক মাথায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ফাঁকায়। কিন্তু পোস্টেই রাখতে পারেননি তাঁর শট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাইল ওয়াকারকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখেছেন মারিও মানজুকিচ।
৫৫ মিনিটে ট্রিপিয়রের পাস থেকে কেইন হেড করার ঠিক আগ মুহূর্তে সেটি ক্লিয়ার করেছেন ক্রোয়েশিয়া ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেন।
৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শট নিয়েছিলেন পেরিসিচ। কিন্তু সেটি ঢোকার আগে ঠেকিয়ে দিয়েছেন ইংলিশ ডিফেন্ডার ওয়াকার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে যে চাপ দিচ্ছিল, ৬৮ মিনিটে সেটারই পুরস্কার পেল ক্রোয়েশিয়া। ভারলাসকোর দুর্দান্ত ক্রস থেকে ডান পা ছুঁইয়ে গোল করলেন পেরিসিচ, টুর্নামেন্টে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল।
৭২ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ক্রোয়েশিয়া। ইংলিশ রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে বাঁ পায়ে শট করেছিলেন পেরিসিচ। কিন্তু সেটা পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
৭৬ মিনিটে লিনগার্ডের শট একটুর জন্য চলে চলে যায় পোস্টের পাশ ঘেঁষে।
৮৩ মিনিটে মারিও মানজুকিচের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন পিকফোর্ড।
৮৪ মিনিটে আবার পেরিসিচের সুযোগ, এবার গোলরক্ষক এগিয়ে আসতে দেখে চিপ করেছিলেন। কিন্তু পোস্টে রাখতে পারেননি।
অতিরিক্ত সময়ের ৯৭ মিনিটে গোল দিয়েই দিয়েছি ইংল্যান্ড। কিন্তু স্টোনসের শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ভাসালকো।
১০৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মানজুকিচের শট ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড।
সারাবাংলা/ এ এম