Saturday 05 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবশেষে শাপমোচন সোনালী প্রজন্মের


১২ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪৬ | আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্পোর্টস ডেস্ক।। 

সোনালী প্রজন্মটা শব্দটা নামের সঙ্গে সেঁটে আছে বেশ আগে থেকেই। ২০ বছর আগে ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসের সেরা দলটা প্রথম বিশ্বকাপেই চলে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। কিন্তু লিলিয়ান থুরামের জোড়া গোলে শেষ চার থেকে ফিরতে হয়েছিল। এবারের দ্বিতীয় সোনালী প্রজন্ম দলটা সেখানেই থামল না, ইংল্যান্ডকে হারয়ে প্রথম বারের মতো চলে গেল ফাইনালে। কী অদ্ভুত কাকতাল, এবারের ফাইনালেও তাদের প্রতিপক্ষ ২০ বছর আগের সেই ফ্রান্স।

মদ্রিচদের দলটার শেষ সুযোগ মনে করা হচ্ছিল এবারই। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই দলের অনেকেই একসঙ্গে খেলছেন। ক্লাব ফুটবলে সবাই নিজেদের সেরা সময়টা কাটাচ্ছেন। লুকা মদ্রিচ মাত্রই রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। ইভান রাকিটিচ বার্সার হয়ে জিতেছেন সম্ভাব্য সবকিছু। মারিও মানজুকিচ খেলেছেন দুইটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে। ইভান পেরিসিচও ইন্টারে খেলছেন অনেক দিন থেকে। আর নতুনদের মধ্যে রেবিচ, কোভাচিচরাও খেলেন বড় ক্লাবে। নিজেদের লিগের মাত্র দুজন খেলোয়াড় আছে তাদের, বাকিরা সবাই খেলেন ইউরোপের বিভিন্ন বড় লিগে। এত সব দারুণ খেলোয়াড় একসঙ্গে থাকার পরেও ৪০ লাখ লোকের দেশটা বিশ্বকাপে এতদূর চলে যাবে , কেউ ভাবেনি। এর আগে অনেকবার বড় আসরে গিয়েও বলার মতো কিছুই করতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

সেই অতৃপ্তি যে এবার ঘোঁচাতে পারে, সেটার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছিল শুরু থেকে। নাইজেরিয়াকে হারিয়ে শুরু, এরপর ক্রোয়েশিয়া টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা ম্যাচটা খেলে আর্জেন্টিনার সঙ্গে। ৩-০ গোলের জয়ে জানান দেয়, অনেক দূর যেতেই এসেছে তারা। এরপর আইসল্যান্ডের সঙ্গে জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বে।

তবে বিশ্বকাপে অনেক দূর যাওয়ার জন্য কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও লাগে। সেটাও পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া, দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্কের সঙ্গে টাইব্রেকারে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জিতেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে আবার সেই টাইব্রেকার, এবারও নায়ক গোলরক্ষক সুবাচিচ। এই দুই ম্যাচে সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া, আবার ধরল সেমিফাইনালে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছে টানা তিন ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পরও গোল করাটা জানান দেয় তাদের হার না মানা মানসিকতার।

ফাইনালে কী হবে সেটা বলা মুশকিল, তবে ক্রোয়েশিয়া একটা আশার আলো এখনই দেখতে পারে। ১৯৫৮ সাল থেকে শুরু করে প্রতি ২০ বছর পর পর নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখেছে বিশ্বকাপ। ১৯৫৮ সালে প্রথম বারের মত কাপ পায় ব্রাজিল। ২০ বছর পর আর্জেন্টিনা, তারও ২০ বছর পর ফ্রান্স তা পায় প্রথম বার। এবার কি ক্রোয়েশিয়াও পাবে?

সেই উত্তর জানা যাবে রোব বার।

সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর