দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে রীতিমতো উড়ে গেলেও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশকে কঠিন সময় উপহার দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অবশ্য ২ বল হাতে রেখে ম্যাচটা ৪ উইকেটে জিতেছে। তবে আইরিশ অধিনায়ক পল স্ট্যার্লিং বললেন, তাদের বিশ্বাস ছিল ম্যাচটা তারাই জিতবেন।
আগে ব্যাটিং করে প্রথম ছয় ওভারে ৭৫ রান তোলা আয়ারল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ১৭০ রানে থামে। পরে বোলিংয়ে একটা সময় মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের কার্যকারী একটা ইনিংসে অবশ্য সেখান থেকে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে আইরিশ অধিনায়ক পল স্ট্যার্লিং বলছিলেন, ‘আসলে আমরা পার স্কোরের বেশিই ছিলাম। শুরুতে সবসময় ১৭০ রানের (লক্ষ্য) কথা বলেছি। আমাদের শুরুটা অনেক ভালো হয়েছে। ম্যাচ যত এগিয়েছে খেলাটা তত কঠিন দিকে মোড় নেয়। কিছুটা হতাশ যে ১৮০ রান তুলতে না পারায়। তবে খুব বেশি দূরেও ছিলাম না আমরা। টাইট মার্জিন ছিল অনেক।’
‘প্রতি ম্যাচেই আমরা জিততে চাই। যেকোনো জায়গা থেকেই ম্যাচ জেতা সম্ভব। প্রথম ইনিংসেই দেখা গেছে। প্রথম ১০ ওভার শেষে ম্যাচটা আমাদের হাতেই ছিল। আমরা সবসময় বিশ্বাস রেখে গেছি যে ম্যাচটা জিততে পারি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়ে দুই নতুন ব্যাটারকে ক্রিজে এনে আমরা তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছি। আমাদের সবসময় বিশ্বাস ছিল আমরা ম্যাচটা জিততে পারি।’- যোগ করেন আইরিশ দলপতি।
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ম্যাচে তা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন বলেছেন পল স্ট্যার্লিং, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলাটা দ্রুত বদলায়। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ যা ভুল করেছিল সেসব শুধরে আজকে অনেক ভালো করেছে। আজকে তারা অনেক উন্নতি করেছে, নিজেদের শক্তিটা দেখিয়ে দিয়েছে।’
তিন ম্যাচের এই সিরিজটা বিশ্বকাপের জন্য দারুণ প্রস্তুতি হবে বলে মনে করছেন স্ট্যার্লিং। কারণ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ভারত ও শ্রীলংকায়। কন্ডিশনের দিক দিয়ে সেটা বাংলাদেশের মতোই। স্ট্যার্লিং বলেন, ‘অনেক জরুরি ছিল এই সিরিজ। বছরের শুরুতেই আমরা ভেবেছি বাংলাদেশের এই সিরিজই বিশ্বকাপের জন্য আমাদের প্রস্তুতির মঞ্চ হতে পারে। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার কন্ডিশন অনেকটা এখানকার মতো হবে বলেই ধারণা করছি কিংবা কাছাকাছি হবে। বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আমরা সবসময়ই উচ্ছ্বসিত থাকি।’
