গ্রাসরুট স্তরে অ্যাথলেটিক্সকে আরও বিস্তৃত করতে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের (বিএএফ) ‘অ্যাথলেটিকস কম্পাস’ প্রকল্পে ৩০,০০০ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স। ‘গ্রান্ট ফর গ্রোথ’ কর্মসূচির আওতায় পাওয়া এই অনুদানের অর্ধেকের বেশি ইতোমধ্যে হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ।
শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করে তাদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। যশোর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি, ময়মনসিংহ ও ঢাকাসহ ছয়টি জেলায় ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী দৌড়, লাফ, থ্রো ও সেফগার্ডিংয়ের মতো মৌলিক অ্যাথলেটিক্স দক্ষতা শিখবে। পাশাপাশি ৯৬ জন শারীরিক শিক্ষাকেও দেয়া হবে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ, যাতে তারা সারা বছর শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় যুক্ত রাখতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, জাতীয় পর্যায়ের অ্যাথলেট তৈরিই একমাত্র লক্ষ্য নয়; বরং পরিবার–সমাজকে খেলাধুলার সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করে সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তোলাই মূল উদ্দেশ্য। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপ তুলে বলেন, ৮১ শতাংশ শিশু প্রতিদিন এক ঘণ্টা খেলাধুলার সুযোগ পায় না।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও যুগ্ম সম্পাদক কিতাব আলী জানান, এ উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে কয়েকজনও যদি ভবিষ্যতে মূলধারার অ্যাথলেটিক্সে উঠে আসে, তাহলে সেটাই হবে বাড়তি সাফল্য। তহবিলের প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে প্রকল্পটি ২০২৭ সাল পর্যন্ত চলবে বলেও জানান তিনি।
প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে ১০ ডিসেম্বর যশোরে। এরপর পর্যায়ক্রমে সুনামগঞ্জ, জামালগঞ্জ, রাঙামাটি ও শেরপুরের ঝিনাইঘাতি উপজেলায় জানুয়ারি পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।