আবেদনময়ী সমর্থকদের দেখানোয় বিরক্ত ফিফা
১৪ জুলাই ২০১৮ ২২:৩৪ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ১০:০২
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
লুঝনিকির ফাইনালে ৮০ হাজার দর্শক প্রত্যক্ষ সাক্ষী হতে যাচ্ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের। টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখবে আরও কত কোটি ফুটবলপ্রেমী-তার ইয়ত্তা নেই! তার আগে বিশ্বকাপের ব্রডকাস্টারদের ‘লিঙ্গ বৈষম্যমূলক’ অদ্ভুত এক চর্চা বন্ধ করতে বলছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। তাতে, ক্যামেরার চোখে টেলিভিশনের পর্দায় সুন্দরী বা যৌন আবেদনময়ী, লাস্যময়ী-বিকিনি পড়া নারী দর্শকদের খুব একটা দেখা মিলবে না ফাইনালের মহারণে।
গ্যালারি মাতিয়ে রাখা আবেদনময়ী কোনো নারী সমর্থকের দিকে টিভি ক্যামেরা জুম করে ধরার প্রবণতায় বেশ বিরক্ত হয়েছে ফিফা। ফিফার আশা, শুধু লুঝনিকির ফাইনালে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচেই নয়, ভবিষ্যতের মেগা টুর্নামেন্টগুলোতেও এমনটা আর হবে না। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি টেলিভিশন দর্শক স্টেডিয়ামের নারী সমর্থকদের আরও সম্মানজনক উপস্থাপন দেখতে পাবে।
ফিফার কর্মকর্তা ফেদেরিকো আদ্দিয়েচি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে গ্যালারিতে থাকা নারী সমর্থকদের এভাবে উপস্থাপন দূর করতে হস্তক্ষেপ করাটা প্রয়োজন ছিল। ফিফার বর্তমান অবস্থান একটি স্বাভাবিক বিবর্তন। প্রযুক্তির হাত ধরে চলায় রাশিয়া বিশ্বকাপের ব্রডকাস্টাররা চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপের চেয়ে কিছুটা উন্নতি করেছে।
ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া ফাইনাল চলার ফাঁকে গ্যালারিতে কোনো যৌন আবেদনময়ী নারী সমর্থকের দিকে টিভি ক্যামেরা এবার জুম করে রাখা হবে না।
রাশিয়া বিশ্বকাপে বেশকিছু সাংবাদিক সংবাদ উপস্থাপনের সময় যৌন হেনস্থা হওয়ার পর টনক নড়ে ফিফার। সরাসরি সম্প্রচারে খবর পাঠানোর সময় জার্মান সাংবাদিক হুলিয়েত গঞ্জালেস থেরানের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা আলোচিত হয় বিশ্বব্যাপী। যৌন হেনস্থার শিকার পর্তুগিজ চ্যানেল টিভি গ্লোবো ও স্পোর্টটিভির সাংবাদিক জুলিয়া গুইমারের ঘটনাটিও বেশ আলোচনায় আসে। সুইডিশ নারী সাংবাদিক মালিন ওয়াহ্লবার্গ একই ঘটনার শিকার হন। আর্জেন্টাইন ইএসপিএনের প্রতিবেদক আগোস লারোকা এবং ফ্রান্স ২৪-এর কেথেভান গরজেসতানি নামের দুই নারী সাংবাদিকও হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। লাইভ চলাকালেই স্প্যানিশ টিভি উপস্থাপিকা মারিয়া গোমেজের গালে চুমু খেয়ে পালিয়ে যান এক ব্যক্তি।
ফিফার তথ্য অনুসারে, রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবলের খবর সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন দেশের ১৬ হাজার সাংবাদিক। এর মাত্র ১৪ শতাংশ নারী। তবে, শুধু নারী সাংবাদিকরাই নয়, পুরুষ সাংবাদিকরাও শিকার হচ্ছেন এই অশালীন আক্রমণে। সরাসরি সম্প্রচারের কাজ শুরু হওয়ার পরই পরিস্থিতির সুযোগ নেন যৌন হয়রানিকারীরা। দক্ষিণ কোরিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল এমবিএনের সাংবাদিক জিওন জিওয়াং রিওল গত ২৮ জুন মাইক্রোফোন হাতে সরাসরি সম্প্রচারে থাকা অবস্থায় দুই রাশিয়ান তরুণী তার গালে চুমু খান।
সারাবাংলা/এমআরপি