Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফ্রান্সের দ্বিতীয় না ক্রোয়েশিয়ার প্রথম?


১৫ জুলাই ২০১৮ ১১:২৭

স্পোর্টস ডেস্ক।। 

২০ বছর পর পর বিশ্বকাপ নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখে আসছে সেই ১৯৫৮ সাল থেকে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিল, ২০ বছর পর আর্জেন্টিনা, তারও ২০ বছর পর ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স-সেই হিসেবে কি এবারও নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখার কথা? ক্রোয়েশিয়ার জন্য মঞ্চটা প্রস্তুত। তবে আজ বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স যে ফেবারিট হিসেবে শুরু করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই ২০ বছর আগে ফ্রান্সের কাছেই ভেস্তে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়ার সোনালী স্বপ্ন। স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেই সেবার বাজিমাত করে ফেলেছিল ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্সে চলে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। সেখানে ডেভর সুকারের গোলে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু এরপর লিলিয়ান থুরামের দুই গোল তাদের হতাশায় ডুবিয়ে দেয়। সেমিফাইনালে গিয়েই থেমে যেতে হয় তাদের, সুকার-বোবানদের সোনালী প্রজন্ম থেকে যায় ট্রফিবঞ্চিত।

এরপর মদ্রিচ-রাকিতিচদের হাত ধরে আরেকটি সোনালী প্রজন্ম পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সাফল্য যেন ধরা দেবে দেবে করাও ধরা দিচ্ছিল না। উল্টো চার বছর আগে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ার শুরু হয়ে যায় তুমুল সমালোচনা। শেষ পর্যন্ত সাত মাস আগে দায়িত্ব নেন নতুন কোচ লাতকো দালিচ, সেই কোচই ক্রোয়েশিয়াকে নিয়ে যান ফাইনালে। তাঁর হাত ধরে মদ্রিচরা স্বপ্ন দেখছেন রূপকথার।

তবে ফ্রান্সের এই দলে শিরোপা জেতার সব রসদ আছে। এই দলটা অনেকটাই তরুণ, বিশ্বকাপের দলে অভিজ্ঞদের বাদ দেওয়ার জন্য ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমের সমালোচনাও হয়েছিল অনেক। কিন্তু দেশম এখন প্রমাণ করছেন, তার সিদ্ধান্তই ঠিক। তরুণদের একসূত্রে বাঁধতে পেরেছেন, চোখে লেগে থাকার মতো ফুটবল না খেললেও ফ্রান্স খেলেছে কার্যকরী ফুটবল। কিলিয়ান এমবাপ্পে নামের নতুন একজন তারকা পেয়ে গেছে ফ্রান্স। ২০ বছর পর আরও একটি বিশ্বকাপ জয়ের আশা ফরাসীরা এখন দেখতেই পারে।

বিজ্ঞাপন

ফ্রান্সের দলের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের জমাট রক্ষণ ও নিরেট মধ্যমাঠ। পুরো টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ গোল না খেয়ে পার করেছে তারা। ডিফেন্ডার ভারান ও উমতিতিরা শুধু গোল ঠেকাচ্ছেন না, গোল করছেনও। আর কান্তে ও পগবা মিলে প্রতিপক্ষ মধ্যমাঠকে বলের দখলই নিতে দিচ্ছেন না। আর ক্রোয়েশিয়ার মধ্যমাঠে আছেন মদ্রিচ, রাকিতিচদের মতো খেলোয়াড়। এখন পর্যন্ত সব ম্যাচেই তারা আলো ছড়িয়েছেন।

ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আছে ফ্রান্স, নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচেই তারা অপরাজিত। আর বড় টুর্নামেন্টে আগের পাঁচ ফাইনালে জয় পেয়েছে ফ্রান্স তিন বার। ২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে অবশ্য হেরেছিল। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার জন্য কোনো বড় টুর্নামেন্টে ফাইনাল এবারই প্রথম। নির্ভার হয়ে খেলতে পারলে আজ ফ্রান্সকে তারা চমকে দিতেই পারে।

সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর