স্বপ্নের শুরুর পর বাংলাদেশের দুঃস্বপ্নের শেষ
১৫ জুলাই ২০১৮ ১১:৪৪
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
স্বপ্নের একটা দিনের শেষে সেই পুরনো বাংলাদেশ। বোলাররা যে সোনালী ভোরের আশা দেখিয়েছিলেন, আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই আশা মিলিয়ে গেল মরীচিকায়। জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্ক টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলেই তাই ১৬৮ রানে অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত হেরে গেল ১৬৮ রানে, দুই টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিনেই ম্যাচটা মুঠো থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় দিন সকালে সাকিব আল হাসান ম্যাচে ফেরার একটা সুযোগ এনে দিয়েছিলেন সামনে থেকে। সকালে সাকিবের স্পিনে একের পর এক উইকেট খুইয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একমাত্র রস্টন চেজ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের কেউই ২০ রানও পার করতে পারেননি। সাকিব ৩৩ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। দেশের বাইরে এটা তাঁর নিজের তো বটেই, বাংলাদেশের কোনো বোলারের দেশের বাইরে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। বাংলাদেশের বোলারদের ঘূর্ণিজালে শেষ পর্যন্ত ১২৯ রানেই অলআউট হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়াল ১২৯ রান।
টেস্টে এত রান তাড়া করে বাংলাদেশ কখনো জেতেনি, দেশের বাইরে তো নয়ই। আর স্যাবাইনা পার্কের অসমান বাউন্সের কঠিন উইকেটে সেই কাজ ঢাল তলোয়ার ছাড়া যুদ্ধজয়ের মতোই। বাংলাদেশের শুরুটাও হলো দুঃস্বপ্নের মতো, কোনো রান না করেই এলবিডব্লু হয়ে ফিরে গেলেন তামিম। লিটন দাস দেখাচ্ছিলেন, এই উইকেটেও শট খেলা সম্ভব। কিন্তু ৩৩ রান করার পর অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা দিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন গালিতে। মুমিনুল হক আগের তিন ইনিংসে ১ রান করার পর আজ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৫ রানের বেশি করতে পারলেন না। এরপর মাহমুদউল্লাহ ৪ রান করে উইকেটটা উপহার দিয়ে এলেন, বাংলাদেশ তখন ৬৭ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট।
কিন্তু সাকিব ও মুশফিক পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেন। দুজন সুযোগ পেলেই চার মারছিলেন, ৫০ রানের জুটিও হয়ে গিয়েছিল তাদের। কিন্তু মুশফিক আগের টেস্টের মতো এবারও ব্যাট প্যাড গলে বোল্ড। নুরুল হাসানকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের। সেটা না হলেও বাংলাদেশ আউট হয়েছে একের পর এক। সাকিব অবশ্য ফিফটি পেয়েছেন, কিন্তু ৫৪ রানে তাঁর আউটে পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের সব আশা। শেষ পর্যন্ত ১৬৮ রানেই অলআউট বাংলাদেশ, তবে এই সিরিজে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস। ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা তো বটেই, সিরিজসেরাও হয়েছেন হোল্ডার।
সারাবাংলা/ এএম