ফ্রান্স ২-১ ক্রোয়েশিয়া: প্রতিক্ষণের আপডেট সারাবাংলায় (প্রথমার্ধ)
১৫ জুলাই ২০১৮ ২১:৩৯ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ২২:০৮
।। স্পোর্টস ডেস্ক।।
২১তম বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নেমেছে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স এবং প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠা ক্রোয়েশিয়া। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হয় ফাইনালের মহারণ। শিরোপার লড়াইয়ে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে নামে দুই দল। প্রথমার্ধ শেষে ২-১ গোলে এগিয়ে ফ্রান্স। ফরাসিদের হয়ে একটি গোল করেছেন অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান, অপরটি আত্মঘাতী (মানজুকিচ)। এদিকে, ক্রোয়েশিয়ার হয়ে একটি গোল করেন পেরিসিচ। প্রতিক্ষণের আপডেট পেতে থাকুন সারাবাংলা.নেটে।
৪৫ মিনিট: কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড করতে পারলেই গোল পেতেন ভিদা। তব, বলে মাথা লাগাতে না পারলে ক্রোয়েশিয়ার সমতায় ফেরা হয়নি।
৪৩ মিনিট: পেরিসিচের জোরালো শট ফরাসি ডিফেন্সে বাধা পেয়ে কর্নার হয়। সেখান থেকে কোনো স্কোর আদায় করে নিতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।
৪০ মিনিট: ক্রোয়েশিয়ার চেষ্টা আবারো ব্যর্থ হয়।
৩৮ মিনিট: পেনাল্টি শট নেন গ্রিজম্যান। ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক সুবাসিচ বল আকটাতে ব্যর্থ হলে ফ্রান্স এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
৩৫ মিনিট: হ্যান্ডবলের আবেদন করেন ফরাসিরা। আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিতানা প্রথমে কোনো নিদের্শ না দিলেও ভিডিও সহকারীর সাহায্য নেন। পেরিসিচের হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি লাভ করে ফ্রান্স।
৩১ মিনিট: মাঝমাঠের লড়াই। বল নিয়ে ক্রোয়েটদের চেষ্টা, ফরাসি ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করেন।
২৮ মিনিট: সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। ভিদার থেকে ফরাসি ডি-বক্সে বল পান পেরিসিচ। বাম পায়ের জোরালো শটে ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়ে দেন পেরিসিচ। ম্যাচ ফিরে আসে ১-১ সমতায়।
২৭ মিনিট: পেরিসিচকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড পান ফরাসি তারকা এনগোলো কান্তে।
২৬ মিনিট: কিছুটা অগোছালো দুই দল।
২২ মিনিট: নিজেদের গুছিয়ে আবারো শুরু করে ক্রোয়েশিয়া।
১৮ মিনিট: ফ্রি-কিক পায় ফরাসিরা। ক্রোয়েশিয়ার ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন গ্রিজম্যান। ক্রোয়েশিয়ার তারকা মানজুকিচের মাথায় লেগে বল নিজেদের জালেই জড়িয়ে যায়। ফাইনালের মহারণে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েটরা (১-০)।
১৭ মিনিট: জিরুদের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন ক্রোয়েট ডিফেন্ডাররা। পরে এমবাপের চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেন।
১৫ মিনিট: পেরিসিচের গতিতে হার মানে ফরাসিরা। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল নিয়ে প্রবেশ করেন পেরিসিচ, ক্রস করেন সতীর্থের দিকে, প্রস্তুত ছিলেন উমতিতি। প্রথম ১৫ মিনিটে ক্রোয়েটদের পায়ে বল ছিল ৫৯ শতাংশ, আর ফরাসিদের পায়ে বল ছিল ৪১ শতাংশ।
১১ মিনিট: মাঝমাঠ থেকে বল বানিয়ে দেওয়া হলেও পেরিসিচ সেটাতে শট নিতে ব্যর্থ হন।
১০ মিনিট: প্রথম দশ মিনিটে ফ্রান্সের কোনো আক্রমণই দেখা যায়নি।
৮ মিনিট: স্ট্রিনিচ বল নিয়ে ফরাসি ডি-বক্সে প্রবেশ করেন। উমতিতি কর্নারের মাধ্যমে বল ক্লিয়ার করেন।
৬ মিনিট: স্যামুয়েল উমতিতিকে বাধা দেন মানজুকিচ। ফলে, ফ্রি-কিক পায় ফরাসিরা।
৫ মিনিট: ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে আবারো ক্রোয়েটদের আক্রমণ। দারুণ ক্রস থেকে ক্রোয়েটদের কেউ বলে পা গলানোর আগেই বল ক্লিয়ার করেন ফরাসি ডিফেন্ডার।
৩ মিনিট: প্রথম আক্রমণে যায় ক্রোয়েশিয়া। ফরাসি ডিফেন্সে বাধা পান ইভান পেরিসিচ।
২০ বছর আগে ফ্রান্সের কাছেই ভেস্তে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়ার সোনালী স্বপ্ন। স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেই সেবার বাজিমাত করে ফেলেছিল ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্সে চলে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। সেখানে ডেভর সুকারের গোলে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু এরপর লিলিয়ান থুরামের দুই গোল তাদের হতাশায় ডুবিয়ে দেয়। সেমিফাইনালে গিয়েই থেমে যেতে হয় ক্রোয়েটদের, সুকার-বোবানদের সোনালী প্রজন্ম থেকে যায় ট্রফিবঞ্চিত।
ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আছে ফ্রান্স, নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচেই ফরাসিরা অপরাজিত। তিনবার জিতেছে ফ্রান্স আর বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়। নির্ভার হয়ে খেলতে পারলে আজ ফ্রান্সকে তারা চমকে দিতেই পারে। সেমি ফাইনালে খেলা দল দুটিই নামে ফাইনালে।
ফ্রান্সের শুরুর একাদশ: হুগো লোরিস (গোলরক্ষক এবং অধিনায়ক), বেঞ্জামিন পাভার্ড, রাফায়েল ভারানে, স্যামুয়েল উমতিতি, পল পগবা, অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান, অলিভার জিরুদ, কাইলিয়ান এমবাপে, এনগোলো কান্তে, ব্লেইসেস মাতুইদি, লুকাস হার্নান্দেজ। কোচ: দিদিয়ের দেশম।
ক্রোয়েশিয়ার শুরুর একাদশ: ড্যানিয়েল সুবাসিচ (গোলরক্ষক), সিমে ভ্রাসালকো, ইভান স্ট্রিনিচ, ইভান পেরেসিচ, ডেজান লভরেন, ইভান রেকিটিচ, লুকা মদ্রিচ (অধিনায়ক), মারসেলো ব্রজোভিচ, মারিও মানজুকিচ, আনতে রেবিচ, ডোমাগজ ভিদা। কোচ: জ্লাতকো দালিচ।
সারাবাংলা/এমআরপি