Friday 03 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বপ্নের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো ফ্রান্স


১৫ জুলাই ২০১৮ ২২:০৮ | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৯:১৮

।। স্পোর্টস ডেস্ক।।

অবশেষে ২০ বছরের অপেক্ষা ঘুঁচলো ফ্রান্সের। ১৯৯৮ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পর এবার রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বপ্নের বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের করে নিল ফরাসিরা। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ২১তম বিশ্বকাপ আসরের ফাইনালে ক্রোয়েটদের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জিতলো দিদিয়ের দেশমের ছাত্ররা।

ফরাসিদের হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান, অপরটি আত্মঘাতী (মানজুকিচ)। দলের তৃতীয় গোলটি করেন পল পগবা। চতুর্থ গোলটি করেন কাইলিয়ান এমবাপে। এদিকে, ক্রোয়েশিয়ার হয়ে একটি গোল করেন পেরিসিচ। ক্রোয়েটদের দ্বিতীয় গোলটি করেন মানজুকিচ।

বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হয় ফাইনালের মহারণ। শিরোপার লড়াইয়ে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে নামে দুই দল।

৯৫ মিনিট: রেফারির শেষ বাঁশি। ৪-২ গোলে জয়ী ফ্রান্স। প্রথমার্ধের মতোই পুরো ম্যাচের ৬১ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখেছিল ক্রোয়েশিয়া, বাকি ৩৯ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল ফ্রান্স।
৯৩ মিনিট: পল পগবা পুরোপুরি ফাঁকায় বল পেয়েও শট নিতে পারেননি।
৯১ মিনিট: ক্রোয়েশিয়ার ভুল পাসের সুযোগ নিয়ে পল পগবা বল নিয়ে ক্রোয়েশিয়ার বক্সে প্রবেশ করলেও স্কোর করতে পারেননি।
৮৯ মিনিট: ডি-বক্সের বাইরে থেকে রেকিটিচের নেওয়া শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
৮৬ মিনিট: কিছুটা অগোছালো হয়ে উঠে ফ্রান্স, তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।
৮১ মিনিট: অলিভার জিরুদতে তুলে নেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম, মাঠে পাঠান নাবিল ফেকিরকে। আর স্ট্রিনিচের জায়গায় বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ক্রোয়েশিয়া কোচ দালিচ মাঠে পাঠান প্যাজকাকে।
৮০ মিনিট: ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া লুকা মদ্রিচের শট আকটে যায় ফরাসিদের পায়ে লেগে।
৭৮ মিনিট: রেকিটিচের শটে পা লাগালেই গোল পেতেন মানজুকিচ। ফরাসি ডি-বক্সে কিছুটা আনমার্ক হয়েই ছিলেন তিনি।
৭৬ মিনিট: ক্রোয়েশিয়ার দুইটি আক্রমণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন ফরাসিরা।
৭১ মিনিট: রেবিচের জায়গায় বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামেন ক্রেমারিচ আর ফ্রান্সের মাতুইদির জায়গায় আসেন তোলিসো।
৬৯ মিনিট: ব্যবধান কমায় ক্রোয়েশিয়া। ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লোরিসের ভুলে বল পান মানজুকিচ। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে জালে জড়িয়ে দেন তিনি (৪-২)।

বিজ্ঞাপন

 

৬৫ মিনিট: কাইলিয়ান এমবাপের গোলে ৪-১ এ লিড নেয় ফরাসিরা। পিএসজি তারকা ক্রোয়েশিয়ার ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে শট নেন। ক্রোয়েট গোলরক্ষকের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
৬১ মিনিট: ফ্রান্সের একটি আক্রমণ নষ্ট করে দেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডাররা।
৫৯ মিনিট: পল পগবার গোলে ৩-১ এ লিড নেয় ফরাসিরা। তার নেওয়া জোরালো শট ক্রোয়েট ডিফেন্সে বাধা পেলে ফিরতি বলে আবারো শট নেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তারকা পগবা। ক্রোয়েট গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়।
৫৮ মিনিট: ডানপাশ দিয়ে আক্রমণে ঢোকার চেষ্টা করে ক্রোয়েশিয়া।
৫৬ মিনিট: গ্রিজম্যানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
৫৪ মিনিট: এনগোলো কান্তেকে তুলে নিয়ে ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম মাঠে নামান স্টিভেন জোনজিকে।
৫৩ মিনিট: নিরাপত্তাকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঠের ভেতরে প্রবেশ করেন দুই দর্শক।
৫২ মিনিট: এমবাপের শট এগিয়ে এসে রুখে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক সুবাসিচ।
৪৬ মিনিট: আবারো শুরু হয় দুই দলের লড়াই।

৪৫ মিনিট: কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড করতে পারলেই গোল পেতেন ভিদা। তব, বলে মাথা লাগাতে না পারলে ক্রোয়েশিয়ার সমতায় ফেরা হয়নি। প্রথমার্ধে ৬১ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখেছিল ক্রোয়েশিয়া, বাকি ৩৯ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল ফ্রান্স।
৪৩ মিনিট: পেরিসিচের জোরালো শট ফরাসি ডিফেন্সে বাধা পেয়ে কর্নার হয়। সেখান থেকে কোনো স্কোর আদায় করে নিতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।
৪০ মিনিট: ক্রোয়েশিয়ার চেষ্টা আবারো ব্যর্থ হয়।
৩৮ মিনিট: পেনাল্টি শট নেন গ্রিজম্যান। ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক সুবাসিচ বল আকটাতে ব্যর্থ হলে ফ্রান্স এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
৩৫ মিনিট: হ্যান্ডবলের আবেদন করেন ফরাসিরা। আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিতানা প্রথমে কোনো নিদের্শ না দিলেও ভিডিও সহকারীর সাহায্য নেন। পেরিসিচের হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি লাভ করে ফ্রান্স।
৩১ মিনিট: মাঝমাঠের লড়াই। বল নিয়ে ক্রোয়েটদের চেষ্টা, ফরাসি ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করেন।
২৮ মিনিট: সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। ভিদার থেকে ফরাসি ডি-বক্সে বল পান পেরিসিচ। বাম পায়ের জোরালো শটে ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়ে দেন পেরিসিচ। ম্যাচ ফিরে আসে ১-১ সমতায়।
২৭ মিনিট: পেরিসিচকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড পান ফরাসি তারকা এনগোলো কান্তে।
২৬ মিনিট: কিছুটা অগোছালো দুই দল।
২২ মিনিট: নিজেদের গুছিয়ে আবারো শুরু করে ক্রোয়েশিয়া।
১৮ মিনিট: ফ্রি-কিক পায় ফরাসিরা। ক্রোয়েশিয়ার ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন গ্রিজম্যান। ক্রোয়েশিয়ার তারকা মানজুকিচের মাথায় লেগে বল নিজেদের জালেই জড়িয়ে যায়। ফাইনালের মহারণে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েটরা (১-০)।

বিজ্ঞাপন

১৭ মিনিট: জিরুদের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন ক্রোয়েট ডিফেন্ডাররা। পরে এমবাপের চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেন।
১৫ মিনিট: পেরিসিচের গতিতে হার মানে ফরাসিরা। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল নিয়ে প্রবেশ করেন পেরিসিচ, ক্রস করেন সতীর্থের দিকে, প্রস্তুত ছিলেন উমতিতি। প্রথম ১৫ মিনিটে ক্রোয়েটদের পায়ে বল ছিল ৫৯ শতাংশ, আর ফরাসিদের পায়ে বল ছিল ৪১ শতাংশ।
১১ মিনিট: মাঝমাঠ থেকে বল বানিয়ে দেওয়া হলেও পেরিসিচ সেটাতে শট নিতে ব্যর্থ হন।
১০ মিনিট: প্রথম দশ মিনিটে ফ্রান্সের কোনো আক্রমণই দেখা যায়নি।
৮ মিনিট: স্ট্রিনিচ বল নিয়ে ফরাসি ডি-বক্সে প্রবেশ করেন। উমতিতি কর্নারের মাধ্যমে বল ক্লিয়ার করেন।
৬ মিনিট: স্যামুয়েল উমতিতিকে বাধা দেন মানজুকিচ। ফলে, ফ্রি-কিক পায় ফরাসিরা।
৫ মিনিট: ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে আবারো ক্রোয়েটদের আক্রমণ। দারুণ ক্রস থেকে ক্রোয়েটদের কেউ বলে পা গলানোর আগেই বল ক্লিয়ার করেন ফরাসি ডিফেন্ডার।
৩ মিনিট: প্রথম আক্রমণে যায় ক্রোয়েশিয়া। ফরাসি ডিফেন্সে বাধা পান ইভান পেরিসিচ।

ফ্রান্সের শুরুর একাদশ: হুগো লোরিস (গোলরক্ষক এবং অধিনায়ক), বেঞ্জামিন পাভার্ড, রাফায়েল ভারানে, স্যামুয়েল উমতিতি, পল পগবা, অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান, অলিভার জিরুদ, কাইলিয়ান এমবাপে, এনগোলো কান্তে, ব্লেইসেস মাতুইদি, লুকাস হার্নান্দেজ। কোচ: দিদিয়ের দেশম।

ক্রোয়েশিয়ার শুরুর একাদশ: ড্যানিয়েল সুবাসিচ (গোলরক্ষক), সিমে ভ্রাসালকো, ইভান স্ট্রিনিচ, ইভান পেরেসিচ, ডেজান লভরেন, ইভান রেকিটিচ, লুকা মদ্রিচ (অধিনায়ক), মারসেলো ব্রজোভিচ, মারিও মানজুকিচ, আনতে রেবিচ, ডোমাগজ ভিদা। কোচ: জ্লাতকো দালিচ।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

উষ্ণতার জন্য | ছবি
৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪০

নতুন বইয়ের ঘ্রাণ
৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:১৫

আরো

সম্পর্কিত খবর