‘অসমাপ্ত’ সোহাগ-বাদল ইস্যু, মেয়াদ বাড়লো সোহাগ ও পলের
২ আগস্ট ২০১৮ ২২:১৫
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ আর সহ-সভাপতি বাদল রায়কে নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় ফেডারেশন। এখনও এই ইস্যুর সমাধান হয়নি। এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই সোহাগের চুক্তির মেয়াদ বাড়লো আরও তিন বছর।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বাদল রায় ও আবু নাইম সোহাগের উপস্থিতিতে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাদল রায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সোহাগ। এর আগে হুমকির অভিযোগ এনে সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায়। তার পরপরই ক্ষেপে উঠে সাবেক ফুটবলাররাও। সহ-সভাপতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে সোহাগের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
এরই মধ্যে সমাধানের পথে এগুচ্ছে তারা। আপাতত আলোচনায় মিটমাটের আভাস পাওয়া গেছে। বাদল রায়ের বিষয়টি নিয়ে আগামী সপ্তাহে সাবেক ফুটবলারদের সঙ্গে বসবেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেখানে এর চূড়ান্ত সমাধান হবে বলে জানোনো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী জানান, ‘এই ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল সেটি দূর হয়েছে। একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটি ১৮-২০ জন সাবেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছে। এই কমিটি তিনবার সভাও করেছে।’
মীমাংসা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সাধারণ সম্পাদকের শব্দ চয়নে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল। সে ব্যপারে সে স্যরি বলেছে। তাকে সে সব শব্দ সংশোধন করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাদল বাবুর অনেক পরামর্শ ছিল, এখনও আছে। সাবেক খেলোয়াড়দেরও বেশ কিছু চাওয়া ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে বাফুফে সভাপতি বসে একটি সুন্দর সমাধানে পৌঁছাবো।’
অসমাপ্ত রেখেই পরবর্তী তিন বছরের জন্য আবু নাঈম সোহাগের মেয়াদ বৃদ্ধি চূড়ান্ত করেছে কমিটি। বাদল রায় অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘আমি ফুটবলের জন্য কাজ করি। এটি আমার জন্য একটি স্যাডিস্ট পার্ট ছিল। যেটা হয়েছে সেটা আমার জন্য খুব দুঃখজনক ঘটনা।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফুটবলের স্বার্থে আমার সভাপতি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাবেক খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসবেন। যারা এর আগে স্মারকলিপি দিয়েছিল, বিচার চেয়েছিল। যাদের মনে আঘাত লেগেছে তাদের সঙ্গে বসবেন। তারা যদি সন্তুষ্ট হন, তাহলে আমিও সন্তুষ্ট। আর সোহাগের বিষয়টি প্রস্তাব না করার কিছু নেই। সবাই আলোচনা করেছে, আমি তো এক সঙ্গে কাজ করি।’
এদিকে টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর পল স্মলির মেয়াদ আরও একবছর বাড়ানো হয়েছে। ১২ হাজার ডলারের একই চুক্তিতে আরও একবছর বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে থাকছেন তিনি।
সারাবাংলা/জেএইচ