ইচ্ছাকৃত ‘নো-বল’ করে নিষিদ্ধ হলেন ইংলিশ বোলার
৮ আগস্ট ২০১৮ ১৫:১০
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
গত ৪ আগস্ট ইংল্যান্ডে সমারসেট ক্রিকেট লিগ ম্যাচে মিনহেড ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলা চলছিল পার্নেল ক্রিকেট ক্লাবের। ম্যাচে পার্নেল ক্রিকেট ক্লাবের এক বোলারের ইচ্ছাকৃত নো-বল এর কারণে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন মিনহেড ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটসম্যান জে ড্যারেল। ইচ্ছাকৃত নো-বল এর কারণে সেঞ্চুরিবঞ্চিত হয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস এবং ভারতের বিরেন্দ্রর শেওয়াগ। বোলার ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড এবং শ্রীলঙ্কার সুরাজ রনদিভ।
সবশেষ ঘটনায় মিনহেডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রান। অপরাজিত ৯৮ রান নিয়ে স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন ড্যারেল। পার্নেল ক্রিকেট ক্লাবের বোলার তখন ইচ্ছাকৃতভাবে নো-বল করেন। যা সোজা বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। মিনহেড ম্যাচটি জিতে গেলেও ড্যারেল সেঞ্চুরি করতে পারেননি। এমন অক্রিকেটীয় আচরণে ক্ষেপে যান মিনহেডের ক্রিকেটাররা। অভিযোগ করেন সমারসেট লিগ কমিটির কাছে।
লিগ কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করে ওই বোলারকে ৯ ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে। তাদের অভিযোগপত্রে বোলারের নামটি জানানো হয়নি। নাম গোপন রাখা এই বোলার এই মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন না। তবে, ম্যাচটির স্কোরকার্ড ঘেটে জানা যায়, বোলারের নাম রুনি ক্যাসলিং। যিনি ৩.২ ওভারে ৩১ রান খরচায় দুটি উইকেটও নিয়েছিলেন।
ম্যাচের পর ড্যারেল টুইটারে লিখেছেন, ‘ম্যাচটি যেভাবে শেষ হয়েছে সেটা ক্রিকেটের জন্য লজ্জাকর। তারপরও আমাদের সমর্থন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’ এদিকে, পার্নেল ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষ থেকে টুইটের মাধ্যমে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়। তারা টুইটে লিখেছে, ‘আমাদের এক ক্রিকেটার ম্যাচের স্পিরিট নষ্ট করেছে। ক্লাবের নিয়মশৃঙ্খলা সে ভেঙেছে। আমরা বোলারটির নামপ্রকাশ করছি না। তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই আমাদের অধিনায়ক ড্যারেলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।‘
বিশ্ব ক্রিকেটে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা কাইরন পোলার্ড সমালোচিত হয়েছিলেন। ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার এভিন লুইস ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। দলের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১ রান। পোলার্ড নো-বল করলে লুইস ৯৭ রানেই অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ৩২ বলে লুইস তার ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন। নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা ক্রিস গেইল ১৪ বলে ২২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার একটি ম্যাচেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সেবার বোলার ছিলেন সুরাজ রনদিভ আর ব্যাটসম্যান ছিলেন ভারতের ওপেনার বিরেন্দ্রর শেওয়াগ। ভারতের জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল ৫ রান আর স্ট্রাইকিং প্রান্তে ৯৯ রানে ব্যাট করছিলেন শেওয়াগ। রনদিভের একটি বল লঙ্কান উইকেটরক্ষক কুমার সাঙ্গাকারা গ্লাভসবন্দি করতে না পারলে অতিরিক্ত চার রান যোগ হয় ভারতের স্কোরবোর্ডে। তখনও ভারতের জয়ের জন্য এবং সেঞ্চুরির জন্য শেওয়াগের দরকার ছিল ১ রান, নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ছোটো রানআপে দৌড়ে আসলেও রনদিভ বল হাত থেকে ছুড়েননি। এরপর একটি বল ডট হয়। পরের বলটি ইচ্ছাকৃত নো-বল করেন স্পিনার রনদিভ। সেই ডেলিভারিতে শেওয়াগও ছক্কা হাঁকান। কিন্তু, ভারতীয় ওপেনারের ছক্কাটি গণনায় ধরা না হলে সেঞ্চুরিবঞ্চিত হতে হয় তাকে। ছক্কা গণনা হওয়ার আগেই ভারত নো-বলের কারণে ম্যাচটি জিতে যায়। এই ঘটনায় রনদিভকে ম্যাচ ফির পুরোটা জরিমানার পাশাপাশি এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
সারাবাংলা/এমআরপি