বাংলাদেশও আমার সম্পর্কে সবকিছু জানে: হাথুরুসিংহে
২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:১৬
সারাবাংলা ডেস্ক
নতুন ভূমিকায় এর মধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে ২৩ জনকে নিয়ে শুরু করে দিয়েছেন অনুশীলনও। কাল সেটি শেষেই জানালেন, কুমার সাঙ্গাকারা, মুত্তিয়া মুরালিধরনদের মতো সাবেকদেরও সাহায্য চান। তবে প্রাসঙ্গিক ভাবে এসে পড়ল বাংলাদেশে ফেরার কথাও। হাথুরুসিংহে একটু কূটনৈতিক হয়েই উত্তর দিলেন, বাংলাদেশের হাঁড়ির খবর যেমন তার জানা, তেমনি তার কাজের ধরনও বাংলাদেশের কাছে অজানা নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে হুট করেই হাথুরুসিংহে জানিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। এরপর অনেক জল ঘোলা শেষে নিশ্চিত হওয়া গেল, তিনি আর ফিরছেন না। নিয়তির কী পরিহাস, হাথুরুসিংহের প্রথম মিশন হতে যাচ্ছে সেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই। নতুন বছরের প্রথম পরীক্ষা শ্রীলঙ্কা দেবে বাংলাদেশের মাটিতেই। জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে শুরু, এরপর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
‘বিভীষণ’ হয়ে ফেরাটা কেমন লাগবে হাথুরুর কাছে? কাল অনুশীলনে উঠেছিল এই প্রশ্ন। শ্রীলঙ্কার নতুন কোচ অবশ্য ছুরির দুই ধারই দেখতে পাচ্ছেন, ‘হ্যাঁ, আমি ফিরে যাচ্ছি বলে এ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ওদের সম্পর্কে যে তথ্য জানি সেটা তো আমি ব্যবহার করবই। আমার সম্পর্কে ওরা যা জানে তাও কিন্তু ওরা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আমার মনে হয় দুই দিকের জন্যই এটা সুবিধা।’
গত দুই বছর বাংলাদেশের উন্নতির অনেকটুকুই তাঁর হাত ধরে। হাথুরুকে এবার সেই বাংলাদেশকে বধেরই সমীকরণ কষতে হচ্ছে, ‘এটা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ আমরা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। বাংলাদেশ গত দুই বছর নিজেদের মাটিতে খুব ভালো খেলেছে। জিম্বাবুয়েও এখন ভালো করছে। আমার মনে হয় সিরিজটা হবে চ্যালেঞ্জিং। আমি নিশ্চিত, দারুণ একটা প্রতিযোগিতা দেখতে পাব আমরা।’
বরং বাংলাদেশের ফেরার চাইতে সামনের বড় ছবিটাই দেখতে চাইলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজটাই কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ নয়। আজ কী হবে, কাল কী হবে এসব নিয়ে তো ভাবনা থাকবেই। আমি শুধু সামনের বড় ছবিটা দেখতে চাইছি।’
এর মধ্যেই অবশ্য অনুশীলনে নিজের কোচিং-দর্শনের ছাপ ফেলতে শুরু করে দিয়েছেন। প্রথম দিনেই খেলোয়াড়দের ধরিয়ে দিয়েছেন মনোবিদ ফিল জনসির তৈরি করা ৪০টি প্রশ্নের একটা তালিকা। এই ফিল জনসি হাথুরুর সাথে বছর তিনেক আগে বাংলাদেশেও কাজ করেছিলেন। এর মধ্যেই সাঙ্গা, মুরালি, মাহেলাদের কাছ থেকেও সাহায্য নেওয়ার জন্য তৈরি বলে জানিয়েছেন হাথুরু।
সারাবাংলা/এএম/এমএ