এবার টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করলেন কাপালিরাও
১৯ আগস্ট ২০১৮ ১৭:৪৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
মাস তিনেক আগে প্রথম অভিযোগটা করেছিল কলাবাগান ক্রিকেট ক্লাব। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ৫০ শতাংশ বেতন পাননি, এমন দাবি করেছিল। আজ প্রিমিয়ার লিগের আরেক দল ব্রাদার্স ইউনিয়নের খেলোয়াড়েরাও অভিযোগ করলেন, সব টাকা তারা এখনও বুঝে পাননি। তাদের সবারই ২৫ শতাংশ টাকা বাকি আছে বলে জানিয়েছেন ব্রাদার্সের ক্রিকেটার অলক কাপালি।
নিয়ম অনুযায়ী, লিগ শুরুর আগে ২৫ শতাংশ, চলার সময় ৫০ শতাংশ আর শেষ হওয়ার সাথে সাথে বাকি ২৫ শতাংশ টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু ব্রাদার্স ক্রিকেটারদের ২৫ শতাংশ টাকা এখনো বাকি আছে বলে জানিয়েছেন কাপালি, ‘সাধারণত লিগ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে আমাদের স্যালারি দিয়ে দেওয়া হয়। আমরা সেভাবেই যোগাযোগ করেছি ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাথে, শেষে বলেছিল রোজার ঈদের আগে দিবে। ঈদের আগে একটা তারিখ দিতে বলেছিলাম। এরপরে তো ঈদ শেষ হয়ে গেল। এরপরে আর তারিখ দেয়নি কেউ। তারপরে আবার ওরা বলেছে কোরবানি ঈদের আগে স্যালারি দিবে। কিন্তু আজকে শেষ কর্মদিবস। আজকেও ওদের কোন খোঁজ নেই। তারপর বাধ্য হয়ে আমরা কোয়াবের (বাংলাদেশে পেশাদার ক্রিকেটার সংগঠন) সঙ্গে যোগাযোগ করি। এখন ওরা বলছে সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের স্যালারি দিবে।’
প্লেয়ার্স বাই চয়েস হওয়ার পরও এমন কিছু হওয়াটা হতাশাজনক বলে মানছেন কাপালি, ‘আমরা প্লেয়ার বাই চয়েসে খেলছি এমন ঝামেলা না হওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরেও ঝামেলা হচ্ছে আমাদের। তিন মাস ধরে এখানে আসা যাওয়া করছি। আর দলের সবাই তো একসাথে নেই। কেউ ঢাকায়, কেউ সিলেটে; তো একসাথে সবাইকে পাওয়া কঠিন। তো এখন প্লেয়ার বাই চয়েস আমাদের জন্য ভাল হবে কিনা এটা নিয়ে আবারও চিন্তা করতে হবে। কেননা আমাদের সবার পরিবার চলে প্রিমিয়ার লিগের টাকায়। সবাই তো আর বিপিএল খেলে না। প্রিমিয়ার লীগ, এনসিএল, বিসিএলে খেলে; এমনকি বিসিএলেও সবাই খেলে না। তাই এই প্রিমিয়ার লিগ কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সব কিছু মেনেও সময়মত স্যালারি না পাওয়া দুঃখজনক।’
প্লেয়ার্স বাই চয়েস নিয়েও আরেকবার ভাবতে বললেন কাপালি, ‘আর আমার একটা নির্দেশ থাকবে যে, প্লেয়ার বাই চয়েস আমাদের জন্য ভালো হচ্ছে কিনা সেটাও আরেকবার দেখা উচিত। কেননা আগে আমরা এমনিতেই চুক্তি করে খেলতাম। তখন এসব সমস্যা হত না।’
কোয়াবের মহাসচিব দেবব্রত পালও কাপালিদের অভিযোগে হতাশ, ‘দেখেন অলক কাপালি একজন টেস্ট ক্রিকেটার। সে যখন ঈদের আগে এসে মিডিয়ার সামনে এসব নিয়ে কথা বলে সেটা অবশ্যই সবার জন্য হতাশাজনক। শুধুমাত্র কোয়াবের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে আমার জন্য না, পুরো কোয়াব কমিটির জন্যই বিষয়টি হতাশাজনক। আর প্লেয়ার বাই চয়েস নিয়ে প্লেয়ারদের মধ্যেও কনফিউশন আছে। তারপরেও এই নিয়মটি যেহেতু করা হয়েছে, এটাই কিভাবে শতভাগ কাজে লাগানো যায় ক্রিকেটারদের রাইটস অক্ষুণ্ণ রেখে এটাই দেখা উচিত এখন।’
তবে, ব্রাদার্স ইউনিয়ন এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
সারাবাংলা/এএম/এসএন
অলক কাপালি কলাবাগান ক্রিকেট ক্লাব প্রিমিয়ার লিগ বাংলাদেশ ক্রিকেট বিপিএল