এশিয়া কাপের কিছু তথ্য
২০ আগস্ট ২০১৮ ১২:০৩
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
১৪তম এশিয়া কাপ ক্রিকেট আসর বসবে আরব আমিরাতে। এর আগে ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশে হয় এশিয়া কাপের টানা তিনটি আসর। একাধিকবার সফলভাবে এশিয়া কাপের আয়োজন করে সাড়া ফেলেছিল বাংলাদেশ। এবার ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে আয়োজক হওয়ার সুযোগ পেয়েছে আমিরাত। চূড়ান্ত হয়েছে এশিয়া কাপের সময়সূচি। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে দুবাইতে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের এবারের আসর।
দুবাইয়ে উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের গ্রুপে অন্য দলটি আফগানিস্তান। এবারের এশিয়া কাপে কিছুটা পরবর্তন এনেছে। প্রতিবারই ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলা হয়। তবে, গতবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সেই আসর হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টির পর এবারের এশিয়া কাপ হবে ওয়ানডেতে। এবারো ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান পড়েছে গ্রুপ ‘বি’ তে। অন্য গ্রুপে থাকছে ভারত, পাকিস্তান সহ আরেকটি দল। সেটির নাম এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষ চার দল খেলবে সুপার ফোরে। সেখানে প্রতিটি দল একে অন্যের মুখোমুখি হবে। শীর্ষ দুই দল ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে খেলবে ফাইনালে। সবকটি খেলা হবে আবুধাবি ও দুবাইয়ে।
বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের সূচি:
১৫ সেপ্টেম্বর, শ্রীলঙ্কা, দুবাই
২০ সেপ্টেম্বর, আফগানিস্তান, আবুধাবি
চলুন দেখে নেওয়া যাক এশিয়া কাপের বেশ কিছু তথ্য:
প্রথম টুর্নামেন্ট: ১৯৮৪ সাল (ওয়ানডে) এবং ২০১৬ সাল (টি-টোয়েন্টি)
সবশেষ টুর্নামেন্ট: ২০১৪ সাল (ওয়ানডে) এবং ২০১৬ সাল (টি-টোয়েন্টি)
পরবর্তী টুর্নামেন্ট: ২০১৮ সাল (ওয়ানডে) এবং ২০২০ সাল (টি-টোয়েন্টি)
সর্বোচ্চ রান (ওয়ানডে): ১৯৯০-২০০৮ সাল, শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া ২৫ ম্যাচে করেছেন সর্বোচ্চ ১২২০ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ১৩০ রান। ব্যাটিং গড় ৫৩.০৪, স্ট্রাইক রেট ১০২.৫২। মাতারা হারিকেন খ্যাত এই লঙ্কান কিংবদন্তি এশিয়া কাপের আসরে সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেছেন ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি। ১৩৯টি চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ২৩টি ছক্কা। ১০৭৫ রান নিয়ে দুইয়ে আরেক লঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা। আর ২৩ ম্যাচ খেলে ৯৭১ রান নিয়ে তিনে রয়েছেন ভারতীয় মাস্টার-ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার।
সর্বোচ্চ রান (টি-টোয়েন্টি): এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টির সংযোজন হওয়ার পর মাত্র একটিই আসর হয়েছে। একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেন হংকংয়ের বাবর হায়াত। ৩ ম্যাচে খেলে তিনি করেছেন সর্বোচ্চ ১৯৪ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ১২২ রান রয়েছে তার দখলে। এই তালিকায় দুইয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের সাব্বির রহমান। ৫ ম্যাচ খেলে সাব্বির করেছেন ১৭৬ রান।
সর্বোচ্চ উইকেট (ওয়ানডে): ১৯৯৫-২০১০ সাল, শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন ২৪ ম্যাচ খেলে এশিয়া কাপের ওয়ানডে ফরম্যাটে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩০ উইকেট। লঙ্কান আরেক স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট (৮ ম্যাচ)। পাকিস্তানের সাঈদ আজমল ১২ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট।
সর্বোচ্চ উইকেট (টি-টোয়েন্টি): টি-টোয়েন্টির ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় এক নম্বরে ৭ ম্যাচ খেলা আরব আমিরাতের আমজাদ জাভেদ। তিনি নিয়েছেন সর্বোচ্চ ১২ উইকেট। ১১ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় দুইয়ে বাংলাদেশের পেসার আল আমিন হোসেন। আর তিনে রয়েছেন ১১ উইকেট নেওয়া আরব আমিরাতের আরেক বোলার মোহাম্মদ নাভিদ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের দুই ফরম্যাট মেলালে সাকিব এবং মাশরাফির উইকেট হবে ১৭টি করে। ওয়ানডেতে দুইজনই নিয়েছেন ১২টি করে উইকেট। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে হিসেব ধরলে এই আসন্ন আসরে আর একটি করে উইকেট পেলেই সাকিব-মাশরাফি টপকে যাবেন ভারতের টেন্ডুলকার এবং পাকিস্তানের আবদুল কাদিরকে। তারা দুইজনই নিয়েছেন ১৭টি করে উইকেট।
সারাবাংলা/এমআরপি