ভারতকে সিরিজ হারানো আমার বড় প্রাপ্তি: ইংলিশ অধিনায়ক
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৫১
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ৬০ রানে হেরেছে সফরকারী ভারত। এমন জয়কে নিজের অধিনায়কত্ব ক্যারিয়ারের সেরা প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন স্বাগতিক ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট। ম্যাচ শেষে সেটা স্বীকারও করলেন এভাবে, আমি ওয়েষ্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জিতেছি। কিন্তু এখন বলতে পারি ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজ জেতাটা আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
চতুর্থ ম্যাচে ভারতকে ৬০ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ৩-১ এ লিড নিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশ অধিনায়ক আরও যোগ করেন, অধিনায়ক হিসেবে আমি বলতে পারি এটা দারুণ অনুভুতি। আমরা ক্রিকেটের লম্বা ফরম্যাটে আরও উন্নতি করেছি। কখনো কখনো পিছিয়ে পড়লেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারি। নিস্বার্থ কিছু সতীর্থকে নিয়ে এমন একটি চ্যালেঞ্জিং সিরিজ জিততে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। বিশ্ব র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দলকে হারিয়ে আমি খুশি।
সাউদাম্পটনে চতুর্থ ম্যাচটি জিতে সিরিজে সমতায় ফেরার সুযোগ ছিল বিরাট কোহলির ভারতের সামনে। তবে, তীরে গিয়েও লড়াইয়ের অভাবে তরী ডুবিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ইংলিশরা ২৪৬ রানেই অলআউট হয়ে যায়। ভারত সুযোগকে কাজে লাগাতে না পেরে প্রথম ইনিংসে করে ২৭৩ রান। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হওয়ার আগে করে ২৭১ রান। তাতে, মাত্র ২৪৫ রানের টার্গেট পায় ভারত। লড়াইয়ের অভাবে শেষ অবধি ১৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া।
ইংলিশদের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন স্যাম কুরান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মঈন আলি। ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ তিনটি আর ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ সামি, অশ্বিনরা দুটি করে উইকেট পান। ভারতের প্রথম ইনিংসে ১৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন চেতশ্বর পূজারা। কোহলি করেন ৪৬ রান। ইংল্যান্ডের মঈন আলি ৫টি, স্টুয়ার্ট ব্রড তিনটি করে উইকেট তুলে নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলার ৬৯ রান করেন। এছাড়া, জেনিংস ৩৬, জো রুট ৪৮, বেন স্টোকস ৩০, স্যাম কুরান ৪৬ রান করেন। ভারতের পেসার সামি চারটি, ইশান্ত শর্মা দুটি করে উইকেট পান। ২৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের অধিনায়ক কোহলি ৫৮, আজিঙ্কা রাহানে ৫১, অশ্বিন ২৫ রান করেন। ইংলিশ স্পিনার মঈন আলি চারটি, পেসার জেমস অ্যান্ডারসন দুটি, বেন স্টোকস দুটি করে উইকেট পান। ম্যান সেরার পুরস্কার ওঠে মঈন আলির হাতে।
সারাবাংলা/এমআরপি