Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তামিমদের তুলনা করতে চান না ম্যাকেঞ্জি


৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:৫৫

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যান নিল ম্যাকেঞ্জিকে অবশ্য পাকাপাকিভাবে পাচ্ছে না বাংলাদেশ, আপাতত খণ্ডকালীন কাজই করবেন। এশিয়া কাপের আগে সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে। দায়িত্ব নেওয়ার পর ম্যাকেঞ্জির সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, ছয়-সাতে ব্যাট করতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কোন জায়গায় ভুগতে হচ্ছে বেশি? ম্যাকেঞ্জি জোর দিয়েই বললেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো পেশীর জোরে মারতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং টেকনিক্যালি মেরেও ব্যাটসম্যানরা যে রান করতে পারে, সেটা বলেছেন। সিপিএলে সবশেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ১১ বলে ২৮ রানের ইনিংসটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সেক্ষেত্রে।

বিজ্ঞাপন

ছয়-সাত নম্বর পজিশন অনেক দিন ধরেই মাথাব্যথা বাংলাদেশের জন্য। সাব্বির রহমানকে এক্ষেত্রে ভাবা হয়েছিল, কিন্তু মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা কারণে এশিয়া কাপের দলে নেই। মোসাদ্দেক হোসেন ও আরিফুল হকও এখন পর্যন্ত নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি এখানে। এশিয়া কাপে মোহাম্মদ মিঠুনকেও ভাবা হচ্ছে এই ভূমিকায়। ম্যাকেঞ্জি বললেন, ওই সময় নেমেই বড় ছয়ে মাঠ পার করে দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং টেকনিক্যালি মেরেও দ্রুত রান তোলা যায়, ‘টেকনিক্যালি আসলে আপনাকে ভালো পজিশনে যেতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তুলনা করলে এক্ষেত্রে হবে না। ওদের মারার ধরন আলাদা। কিন্তু নিজেদের দক্ষতা দিয়ে চারটা দিক টার্গেট করলে কিন্তু মারা যায়- কাভার, পয়েন্ট, মিড উইকেট ও সোজাসুজি।’

মাহমুদউল্লাহর কথা মনে করিয়ে দিলেন আলাদা করে, ‘আমাদের দলেও মারার লোক আছে। রিয়াদ যেমন সিপিএলে ১১ বলে ২৮ রান করেছে। আপনি যদি ভালো পজিশনে যেতে পারেন, তাহলে আপনি আরও বেশি মারতে পারবেন। আপনার লক্ষ্য ওভারে ছয় রান থাকলে আপনি এক বা দুই রান নিয়ে গ্যাপ বের করার চেষ্টা করবেন। আর চার মারার জন্য আপনি কাভার, মিডউইকেট বা সোজাসুজি মারার কথা ভাববেন। ওভারপ্রতি ১২ রান দরকার হলে আপনাকে তখন বড় শট খেলতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তবে দুইটি ছয় মারার পর দুইটি ডটের চেয়ে বরং টানা তিনটি চার মারাটাই পছন্দ ম্যাকেঞ্জির কাছে, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের দেখুন। ওদের অনেকে দুইটা বল মিস করার পর দুইটি ছয় মারবে। আমি চাই বাংলাদেশিরা পর পর তিনটি চার মারুক। বড় ছয় নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তিনটি ভালো ক্রিকেটিং শট খেলেও ১২ রান নেওয়া যায়। প্রতিভা আর পরিশ্রম দিয়ে বড় শটের এই ঘাটতিটা পুষিয়ে দেওয়া যায়।’

তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাতারাতি সবকিছু বদলে দেওয়া যাবে না, সেটা মনে করিয়ে দিলেন ম্যাকেঞ্জি। সেজন্য ছয় থেকে সাত মাস সময় প্রয়োজন, তা মনে করিয়ে দিলেন, ‘বাংলাদেশ খুব ভালো একটা দল। সিনিয়ররা তো অনেকদূর এগিয়ে গেছে। আমাদের ব্যাটের স্পিড বাড়াতে হবে, কব্জির ব্যবহারও বাড়াতে হবে। আমার মনে হয়, ছয়-সাত মাসের মধ্যে সবাইকে যখন মোটামুটি জানতে পারব তখন অন্য দলের সঙ্গে তুলনা করতে পারব। এখানকার ব্যাটসম্যানদের কব্জির ব্যবহার খুবই ভালো। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও খুবই ভালো। ’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর