এই বাংলাদেশকে রুখতে পারবে পাকিস্তান?
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:১৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শেষে পাকিস্তানের ফুটবলে বদলেও হাওয়া লেগেছে ব্রাজিলিয়ান কোচ হোসে অন্তনিও নুগেইরার হাত ধরে। এশিয়ান গেমসে তারই শিষ্যরা নেপালকে হারিয়ে ফেরার গল্প লিখেছে। এবার ঢাকায় সাফ মিশন শুরু করেছে সেই নেপালকেই হারিয়ে। লাল-সবুজরাও অনেকটা একই জায়গা থেকে শুরু করে বদলে গেছে। জেমি ডে’র হাত ধরে দেশের ফুটবলেও বদলে যাওয়ার গল্পটা লেখা হয়েছে।
এবার দু’দলই নামবে তিন পয়েন্ট দখলে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে। এশিয়ান গেমসে অসামান্য ফুটবল নিদর্শন, সাফ ফুটবলে ঘরের মাঠে গ্যালারি ভরা দর্শকের সামনে প্রতিশোধ তোলা ভুটানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকবে বাংলাদেশও।
কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে আগে দুই দেশের দুই কোচ নেমেছে ছক কষাতে। একদিকে পাক বাহিনীতে ইউরোপে খেলা বেশ কয়েকজন ফুটবলার আছে। তবে, সেটা চিন্তা করেই নতুন পরিকল্পনায় নেমেছে কোচ জেমি ডে, ‘ভালো একটা দলের বিপক্ষে এটি খুব কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। ইউরোপে খেলা কিছু ভালো ফুটবলার তাদের দলে আছে। শারীরিকভাবে তারা শক্তিশালী বলেও আমি জানি। প্রথম ম্যাচ জেতায় তারাও আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে। তাই ম্যাচ থেকে আমাদের কিছু পয়েন্ট পেতে হলে আমাদেরকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল খেলতে হবে।’
ভুটানের সঙ্গে ভারতীয় লিগ দাঁপিয়ে বেড়ানো চেনচোকে বোতলবন্দী করতে সফল হয়েছে জেমি। এবারও হয়তো তেমনই কড়া মার্কিং জোন তৈরি করার চেষ্টা করবেন কোচ। এর আগে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচটাও মাঠে বসে দেখেছেন তিনি।
তাই তার কথায়ও পরিকল্পনার ছাপ, ‘শারীরিকভাবে পাকিস্তান আমাদের চেয়ে শক্তিশালী কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তারা আমাদের চেয়ে ভালো দল। আমরা আত্মবিশ্বাসী; ছেলেরা আগামীকালের ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছে। ম্যাচ থেকে কিছু পেতে হলে আমাদের ভালো মানের ফুটবল খেলার দরকার হবে।’
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দলে ফুটবলারদের অদল-বদল করার চিন্তা করছেন তিনি, ‘সেরা একাদশে কোনো বদল আসবে কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। যদি আপনারা দলটাকে দেখেন, তাহলে দেখে থাকবেন গতকাল ছেলেরা কিছু হালকা চোট পেয়েছে। সেটা গুরুতর না হওয়ায় আমরা সকালে সেরা একাদশ সাজাব।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। বর্তমানে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯৪ আর পাকিস্তানের ২০১। তবে, এসবই পরিসংখ্যান। যদিও তথ্য, তবুও এ ম্যাচকে সামনে রেখে দুই দলই মুখোমুখিতে সমান সমান জয় পেয়েছে।
এ পর্যন্ত দুই দল ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। এতে উভই জিতেছে ৬টি করে ম্যাচ। বাকি ৪টি ম্যাচ ড্র হয়। প্রীতি ম্যাচের মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ১২বারের দেখায় পাকিস্তানের ৬ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ৪টিতে। ২টি ম্যাচে কেউ হারেনি। যে কোনো ফুটবলে দুই দেশের সবশেষ খেলায় জয় পাকিস্তানের। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমুন্ডুতে প্রীতি ম্যাচে ১-২ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানকে বাংলাদেশ সবশেষ হারিয়েছে সাত বছর আগে। ২০১১ সালের ২৯ জুন এই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই বিশ্বকাপ বাছাই ফুটবলে লাল-সবুজের দেশ জিতেছিল ৩-০ গোলে।
সাত বছর পর সেই জয়ের আশায় ভিন্ন কৌশল নিয়ে মাঠে নামবে জেমি ডের শিষ্যরা, ‘এটা ভিন্ন একটা ম্যাচ। নতুন ম্যাচ ঠিক করে দেয় আমরা কিভাবে খেলব। আগামীকাল ভিন্ন কৌশলে, ভিন্ন খেলোয়াড়ও খেলানো হতে পারে। তবে দলে পাঁচ-ছয় জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, যারা জানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিভাবে খেলতে হয়। আমরা জানি, কিভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয় এবং আমাদের দলেও শারীরিকভাবে শক্তিশালী খেলোয়াড় আছে।’
সারাবাংলা/জেএইচ