দুঃখ যখন জোড়াতালির সিট আর ফ্লাড লাইট
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৫৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ ফুটবল এখন ঘরের মাঠে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। দেশের টানে ফুটবল দেখতে স্টেডিয়ামে ভরপুর দর্শক। ঠাঁই মেলা ভার। তবে, এই ভিড়ের মাঝেও উঁকি দিচ্ছে ফাঁকফোকর। ঠিক ছন্নছেড়া ‘জমাটবদ্ধ’ দর্শকে ভরা গ্যালারি।
কি হয়েছে এতে?
সাফ ফুটবলের মতো এতো বড় টুর্নামেন্টকে নিয়ে আয়োজকদের উদাসীনতার প্রতিচ্ছবি ধরা পড়েছে স্টেডিয়ামে। ভাঙাচোড়া সিট উঠিয়ে জোড়াতালির আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, অনেক জায়গায় এখনও আসনের বেহালাবস্থা অপরিবর্তিত। টিকিট নিয়ে মাঠে বসে খেলা দেখতে আসা দর্শকরা হতাশ।
আগত দর্শকরা জানালেন দুর্ভোগের কথা, ‘এতো বড় টুর্নামেন্ট। আয়োজকদের কোন প্রস্তুতি নেই। সিটগুলো ভাল না। তাছাড়া কোনও ছাউনিও নেই অনেকগুলো গ্যালারিতে। বৃষ্টিতে মাথা গুজানোর উপায়ও নেই। আর ফ্লাড লাইটের আলোর কথা নাহয় নাই বললাম। দূর থেকে খেলা দেখতে কষ্ট হয়।’
রাজধানীর এই একমাত্র স্টেডিয়ামেই ঘরোয়া লিগ, ঘরোয়া ফুটবল ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোর ম্যাচগুলো আয়োজন হয়ে থাকে। স্টেডিয়ামের এই রুগ্ন ছবি অনেক আগে থেকে। স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও (এনএসসি) চুপ হয়ে আছে। নেই কোনও উদ্যোগ। জোড়াতালি দিয়ে চলছে সকল ফুটবল কার্যক্রম।
আর সাফ ফুটবল চলাকালীন এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন স্টেডিয়ামের প্রশাসক মোবারক করিম, ‘পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে নতুন চেয়ার ও গ্যালারির ছাউনি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কিন্তু সাফের আগে চেয়ার পরিবর্তন হওয়ার আর কোনো সুযোগ ছিল না। চাহিদা অনুযায়ী আধুনিকায়ন করা হয়েছে দুটি ড্রেসিংরুম। টুর্নামেন্ট শেষে হাত দেয়া হয়ে স্টেডিয়ামে’।
অচল আসন ছাড়াও স্টেডিয়ামের দু:খ আছে ফ্লাড লাইটেও। আলো স্বল্পতায় দর্শকদের হতাশার পাশাপাশি ফুটবলের স্বাভাবিক পরিবেশও প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। সাফের স্পনসর প্রতিষ্ঠান ‘লাগাডিয়ার স্পোর্টসের’ চাওয়া অনুযায়ী ফ্লাড লাইটের আলো ১২০০ লাক্স-এ (আলো পরিমাপের একক) উন্নীত করতে পারেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এ নিয়েও বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়েছে অনেক। শেষ পর্যন্ত ১০০০ লাক্সের কাছাকাছি আলো দেয়া হলেও পুরো মাঠে সমান আলো পাওয়া নিয়ে সন্দেহ আছে।
এমনভাবে চলতে থাকলে স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের হতাশাই বাড়বে। সঙ্গে ফুটবল পড়বে বিপত্তিতে।
সারাবাংলা/জেএইচ