এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য মেয়েদের
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৪১
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: গতবছর এএফসি বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এবারের অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে তারই পুনরাবৃত্তি করতে চায় বাঘিনীরা। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সেই যুদ্ধ। চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুতি গোলাম রব্বানী ছোটন বাহিনীও।
গতবারের যে দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো এবার সে দলের রয়েছেন ১২ জন। সঙ্গে নতুনদের নিয়েও আশাবাদী কোচ। তবে, এবারের চ্যালেঞ্জটি তুলনামূলক কঠিন হবে মানছেন ছোটন। এবার দুটি দলকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
গতবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচগুলো আয়োজিত হলেও এবার কমলপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরু হবে এএফসি-১৬ বাছাইপর্ব টুর্নামেন্টটি। আগামী শনিবার শুরু হবে ‘এফ’গ্রুপের বাছাই। সোমবার বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাছাই শুরু করবে বাংলাদেশ।
গেল আসরে বাছাই পেরুলেই মিলেছিল সরাসরি মূল পর্বে খেলার টিকেট। এবার বাছাইয়ে ৬ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা দুই রানার্সআপ দল নিয়ে হবে দ্বিতীয় রাউন্ড। সেখানে আটটি দল খেলবে দুই গ্রুপে। দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ উঠবে মূল পর্বে।
‘এফ’ গ্রুপের বাংলাদেশের বাকি তিন প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত, লেবানন ও ভিয়েতনাম। প্রতিপক্ষদের মধ্যে ভিয়েতনামকেই সবচেয়ে কঠিন বলে মনে করছেন ছোটন। ‘এই টুর্নামেন্ট লক্ষ্য রেখে গত ডিসেম্বর থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। মাঝখানে আমরা তিনটা টুর্নামেন্ট খেলেছি। এর মধ্যে দুইটাতে আমরা চ্যাম্পিয়ন এবং একটাতে রানার্সআপ হয়েছি। যে ভুল ত্রুটি হয়েছে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি। কালকে দুই সেশন অনুশীলন করেছি, মেয়েরা ভালো করেছে। সবাই সুস্থ আছে এবং এ টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত।’
‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমরা দুইবার জিতেছি; একবার ৬-০ এবং একবার ৪-০ গোলে। ভিয়েতনামের ভিডিও ফুটেজ পাওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। তবে তারা শক্তিশালী দল। বাহরাইন-লেবানন পরিকল্পনা এবং সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। তবে আমাদের মেয়েরা বেশ কিছু দিন ধরে একসঙ্গে কঠোর অনুশীলন করছে, তারা আত্মবিশ্বাসী। এই দলের সুবিধা হচ্ছে এই দলের ২৩ জনেরই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
গত প্রতিযোগিতায় খেলা ১২ জন আছেন বর্তমান দলে। রব্বানীর বিশ্বাস নতুন যারা দলে এসেছে তারাও আগের খেলোয়াড়দের মতোই মেধাবী। ‘কিছু খেলোয়াড় তো বয়সের কারণে অবশ্যই বাদ পড়বে। তবে সুখের খবর, পরবর্তীতে যে মেধাবী খেলোয়াড়রা এসেছে, শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা, সাজেদা এবং বাংলাদেশ গেমস-জেএফএ কাপ থেকে আসা রিফা-তারাও মেধাবী। এখন যারা আছে তারা আগের মেয়েদের চেয়ে ফিটনেসের দিক থেকে কম না।’
“যেহেতু আমরা গতবার থাইল্যান্ডে খেলেছি। মেয়েরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছিল ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলার। তার পুরস্কার তারা পেয়েছে। গতবার আমরা মূলপর্বে যা করেছি, এবার তার চেয়ে ভালো করার লক্ষ্য আমাদের। শেষ দুই সেশনে মেয়েরা যেভাবে ভালো করেছে, তাতে আমার মনে হয়েছে এবার প্রথম ম্যাচে আমরা বাহরাইনের বিপক্ষে ভালোভাবে খেলতে পারব।”
সারাবাংলা/জেএইচ