।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট ।।
সাফের ১২তম আসরের ফাইনালে ঘরের মাটিতে দর্শক হয়ে থাকে বাংলাদেশ। ফাইনালে নেমেছিল ভারত এবং মালদ্বীপ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জয় পেয়েছে মালদ্বীপ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয়বার সাফের শিরোপা জিতলো মালদ্বীপ।
এর আগে ১৯৯৩, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৫, ২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। আর মালদ্বীপ ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ১২তম সাফের ফাইনালে র্যাংকিংয়ের ৯৬ নম্বর দল ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মাঠে নামে র্যাংকিংয়ের ১৫০ নম্বর দল মালদ্বীপ।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটেই লিড নেয় মালদ্বীপ। দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ইব্রাহিম মাহুধি। বিরতির আগে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে মালদ্বীপ। বিরতির পর ভারতের জালে দ্বিতীয়বার বল জড়িয়ে দেন আলি ফাসির। ৬৬ মিনিটের মাথায় ২-০ গোলের লিড নেয় পিটার সেগ্রেডের শিষ্যরা। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে (৯২তম মিনিট) সামিত পাসির গোলে ব্যবধান কমালেও হার এড়াতে পারেনি ভারত।
‘বি‘ গ্রুপ থেকেই দুটি দল ফাইনালের টিকিট কাটে। গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুরু করে ভারত। আর মালদ্বীপ লঙ্কানদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-মালদ্বীপ। ২-০ গোলে জিতেছিল ভারত। টস ভাগ্যে সেমি ফাইনালে উঠে মালদ্বীপ। সেমিতে নেপালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় মালদ্বীপ। আর পাকিস্তানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে ভারত।
বাংলাদেশ যতবারই আয়োজক হয়েছে ততবারই ফাইনালে খেলেছে দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ। সাফ ফুটবলের ইতিহাসে পরস্পর মুখোমুখি হওয়ার রেকর্ডে নাম লেখায় দুই দল ভারত ও মালদ্বীপ। এর আগে ১২ বার এ টুর্নামেন্টে সাক্ষাত হয়েছে দু’দলের। তার মধ্যে ছিল চারটি ফাইনাল। যাদের প্রথমটি ২০০৯ সালে, সেবার ভারত দ্বীপ রাষ্ট্রকে হারিয়েছিল টাইব্রেকারে।
এবারও দুই দল ফাইনালে উঠে। টানা তিন জয়ে ফাইনালে উঠে কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের ভারতীয় শিষ্যরা। এবার নিয়ে পাঁচবার ফাইনালে পা রাখে মালদ্বীপ।
সারাবাংলা/এমআরপি