শীর্ষে মোস্তাফিজ, তিনে মুশফিক

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

গতবারের মতো এবারও ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে, হারের আগে ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। শেষ বলে পরাজয় মেনে নিয়েছে মাশরাফির দল। এই আসরে ব্যক্তিগত রান আর উইকেটের খাতায় উপরের দিকেই রয়েছে টাইগাররা। আছে জুটি গড়ার দিক থেকেও।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান। ৫ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৩৪২ রান। তাতে দুটি সেঞ্চুরি আছে তার। ১২৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংসও আছে ভারতীয় এই ওপেনারের। হয়েছেন সিরিজ সেরা ব্যাটসম্যান। এই তালিকায় দুইয়ে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৫ ম্যাচে তিনি এক সেঞ্চুরি আর দুটি ফিফটিতে করেছেন ৩১৭ রান। আর তালিকায় তিনে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারের অন্যতম ভরসা মুশফিকুর রহিম। মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই বাংলাদেশি রানমেশিনের নামের পাশে এই আসরে জমা হয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩০২ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৪৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। আর সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ৯৯ রান।

ব্যাটসম্যানদের তালিকায় চারে আছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ। এই ওপেনার ৫ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি আর একটি হাফ-সেঞ্চুরিতে করেছেন ২৬৮ রান। ৫ ম্যাচে ২৬৩ রান নিয়ে পাঁচ নম্বরে রয়েছেন আরেক আফগান হাশমতউল্লাহ শহিদি।

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খান, বাংলাদেশের মোস্তাফিজ আর ভারতের কুলদীপ যাদব ১০টি করে উইকেট নিয়েছেন। ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। সেরা বোলিং ফিগার ৩/৪৬। বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের উইকেটও ১০টি। সেরা বোলিং ফিগার ৪/৪৩। ভারতের স্পিনার কুলদীপ যাদবও নিয়েছেন ১০ উইকেট। তবে, রশিদ-মোস্তাফিজদের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলেছেন তিনি।

এই তালিকায় চারে আছেন ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ। ভারতীয় এই পেসার চার ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট। ৭টি করে উইকেট নিয়ে যথাক্রমে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে আছেন ভারতের স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা, আফগান স্পিনার মুজীব উর রহমান এবং বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।

উইকেট অনুযায়ী সর্বোচ্চ জুটির দিক থেকেও বাংলাদেশ রয়েছে পাঁচ জায়গায়। ওপেনিং জুটিতে ভারতের রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ান করেছিলেন সর্বোচ্চ ২১০ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাকিস্তানের ইমাম উল হক এবং বাবর আজম করেছিলেন ১৫৪ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুন করেছিলেন ১৩১ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আবারো বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুনের নাম (১৪৪)। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ এবং গুলবাদিন নাইব করেছিলেন ৫০ রান।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের ইমরুল কায়েস এবং মাহমুদুল্লাহ করেছিলেন ১২৮ রান। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪৬ রান করেছিলেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান। অষ্টম উইকেট জুটিতে রশিদ খান আর গুলবাদিন নাইব ৯৫ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন। নবম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম এবং মোস্তাফিজুর রহমান করেছিলেন ২৬ রান। আর শেষ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম করেছিলেন ৩২ রান।

সারাবাংলা/এমআরপি