হতাশার হারেও আশার বাণী শোনালেন মাশরাফি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:১১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
একেকটা মুখ যেন বিষণ্ণতার প্রতিমুর্তি। শেষ বলে হেরে যাওয়ার বেদনা তো আছেই, আট দিনের মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ। তীব্র গরমে খেলার ক্লান্তিও যেন সবার চোখেমুখে। সেলফি শিকারীদের সঙ্গে ছবি তুলতেও তাই হাসি নেই মোস্তাফিজদের মুখে। ভারতের কাছে ৩ উইকেটে হারের পর শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশে ফিরেছে মাশরাফির দল। হারের হতাশার মধ্যেও আশার বাণী শুনিয়ে গেলেন, এই এশিয়া কাপের এই প্রেরণা ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশ দলের জন্য সামনে আরও ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে।
বার বার কেন তীরে এসে তরী ডুবছে বাংলাদেশের? বিশেষ করে ফাইনালেই কেন এমন হচ্ছে? বিমানবন্দরে মাশরাফির কাছে অবধারিতভাবে সেই প্রশ্ন ছিল? বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজেও যেন ঠিক বুঝতে পারছেন না, ‘আমিও আসলে ঠিক বুঝতে পারছি না কেন এমন হচ্ছে। হয়তো মানসিক বাধা হতে পারে, হয়তো স্কিলের ব্যাপার থাকতে পারে। আবার সবার ক্ষেত্রে স্কিলের ব্যাপার আছে তাও বলা যাচ্ছে না। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর অন্তত সেই সমস্যা নেই। কিন্তু তারপরও ওরা কেন পারল না সেটা আসলে ওদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমার মনে হয় ওই সময় দুই উইকেট পড়ার পর ওরা হয়তো একটু চাপে পড়ে গিয়েছিল। ওখান থেকে পাঁচ করে নিলেও আমাদের রান ২৭০ হয়। আবার আরেকটু ভালো ব্যাট করলে ৩০০ রানও খুব সম্ভব ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। এখন মিডল অর্ডার তো প্রতিদিন পারবে না, কিন্তু এটা স্বীকার করতে হবে এই ম্যাচে আমাদের খুব ভালো একটা সুযোগ ছিল।’
মাশরাফি বলছেন, একটা ট্রফি পেলেই সব বাধা কেটে যেতে পারে, ‘একটা ট্রফি আমাদের জন্য এখন খুবই দরকার। ওই বাধাটা তখন হয়তো আমরা পার করে ফেলব। সেটা আসছে না কেন এখনই আসলে বলতে পারছি না।’
এমন হারের পর যে হতাশ, সেটা অকপটেই স্বীকার করলেন, ‘যদি বলি এই হারে হতাশ না তাহলে ভুল বলা হবে। আমরা ফাইনালে জিততে চেয়েছিলাম, সেটা না পারায় অবশ্যই একটা খারাপ লাগা আছে। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বা মাঝে অনেকেই হয়তো আমাদের ফাইনালে দেখেনি। সেদিক দিয়ে এই সিরিজে আমি অনেক অর্জন দেখছি।’ মাশরাফি বলছেন, এই টুর্নামেন্টের প্রেরণাটা ধরে রাখতে পারলে সেটাই হবে সত্যিকারের অর্জন, ‘আমার মনে হয় এই টুর্নামেন্টের স্পিরিট ধরে রাখাটাই আসল কথা। অনেকে যেভাবে পারফর্ম করেছে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে যেভাবে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে, সেটা ধরে রাখাটা এখন সবার দায়িত্ব।’
সামনে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ, তামিম-সাকিবের সেখানে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। শোনা যাচ্ছে, সিনিয়রদের আরও কেউ বিশ্রামে যেতে পারেন। মাশরাফি অবশ্য এমন কিছুর প্রয়োজন দেখছেন না, ‘না, এসব নিয়ে এখনো কথা হয়নি। মাত্রই তো সিরিজ শেষ হলো। সবার একটা বিরতি দরকার। তবে বিশ্রাম নিয়ে কোনো কথা হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা প্রয়োজন দেখছি না। তবে কারও লাগলে নিশ্চয় সেটা নিয়ে আলাপ করবে।’
সারাবাংলা/এএম/এসএন
এশিয়া কাপ ২০১৮ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জিম্বাবুয়ে সিরিজ মাশরাফি বিন মর্তুজা