মুনরোর রেকর্ড, ১৭ বছর পর ক্যারিবীয়ানদের লজ্জা
৩ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:১০ | আপডেট: ৩ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:৩২
সারাবাংলা ডেস্ক
টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজ খুঁইয়ে হোয়াইটওয়াশ হলো ক্যারিবীয়ানরা। নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ হেরেছে ২-০ তে, ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা টি-টোয়েন্টিতে হারলো ২-০তে।
রানের বিচারে এটিই কিউইদের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার উঠেছে ব্যাটে ঝড় তুলে রেকর্ড তৃতীয় সেঞ্চুরি করা কলিন মুনরোর হাতে।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরেছিল ক্রিস গেইল-কার্লোস ব্রাথওয়েইটরা। দ্বিতীয় ম্যাচটা অবশ্য বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে বুধবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও হারলো ক্যারিবীয়ানরা। ফলে খালি হাতে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাদের। এর আগে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে সর্বশেষ এমন লজ্জায় পড়েছিল ১৯৯৯-২০০০ সালে। সেবার দুটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার হেরেছিল সফরের সবগুলো ম্যাচই। টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এবার জয়ের দেখা পায়নি ক্যারিবীয়ানরা।
বে ওভালে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তোলে ২৪৩ রান। নিউজিল্যান্ডের এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। কিউইদের করা রানের পাহাড় তাড়া করতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়তে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সৈন্যদের। মাত্র ১৬.৩ ওভার ব্যাট করে ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৩ বলেই কলিন মুনরোর করা ১০৪ রানই ছিল ম্যাচের সর্বোচ্চ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরার আগে তিনি তার ইনিংসটি সাজান। অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে নিতে বল খরচ করেন মাত্র ৪৭টি। তিনটি বাউন্ডারি আর ১০টি ওভার বাউন্ডারিতে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান মুনরো। চলমান সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫৩ আর দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৬ রানের দুটি ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইনিংসের ১৭তম ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুনরো।
এর আগে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আরও দুটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। তৃতীয় সেঞ্চুরি করতে রীতিমতো বে ওভালে তাণ্ডব চালিয়েছেন। অ্যাশলে নার্সের করা ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লংঅনে বল পাঠিয়ে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মুনরো। প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনটি সেঞ্চুরি করলেন তিনি। যার দুটিই বে ওভালে। এর আগে নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ভারতের রোহিত শর্মা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল-এভিন লুইস দুটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে মুনরো সেঞ্চুরিটি ৩০তম।
মার্টিন গাপটিল ৩৮ বলে ৬৩ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার আর দুটি ছক্কার মার। টম ব্রুস করেন ১৪ বলে ২৩ রান এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৮ বলে করেন ১৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্র্যাথওয়েইট ২টি, জেরম টেইলর ও অভিষিক্ত রায়াদ এমরিত নেন ১টি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে টিম সাউদির করা প্রথম ওভারেই ক্রিস গেইল ও চাদউইক ওয়ালটনকে শূন্য ঝুলি নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। এরপর মাত্র ৪.৫ ওভারেই ৪টি উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। আন্দ্রে ফ্লেচার হাল ধরলেও ৩২ বলে চারটি চার আর তিনটি ছক্কায় ৪৬ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। দলের পক্ষে রভম্যান পাওয়েল ১৬, কার্লোস ব্র্যাথওয়েইট ১৫ রান করেন। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যাশলে নার্স। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি তিনটি, ট্রেন্ট বোল্ট ও ইশ সোদি নেন ২টি, আর আনুরু কিচেন পান ১ টি উইকেট।
সারাবাংলা/এসএন/এমআরপি