Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এ বছর আর মাঠে ফিরতে পারছেন না সাকিব


৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:২৫

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

কত সময় লাগতে পারে সাকিবের মাঠে ফিরতে? অস্ত্রোপচার বিষয়ে মতামত নিতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে নিজেই জানালেন, জানুয়ারিতে বিপিএলের আগে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারছেন না তিনি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা আছে তার। এর মানে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজ তো বটেই চলতি বছর আর মাঠেই নামা হচ্ছে না সাকিবের।

গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হাতে চোট পেয়েছিলেন সাকিব। এরপর ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলেছেন নিদাহাস ট্রফি, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ এবং সর্বশেষ এশিয়া কাপের চারটি ম্যাচ। হাতের আঙুলের ইনজুরি নিয়েই সাকিব এশিয়া কাপে খেলেছেন। বাঁ হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের অবস্থা তাতে আরও খারাপের দিকে যায়। পরে এশিয়া কাপ শেষ না করেই দেশে ফেরেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। হাতের অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে, দ্রুত সাকিবকে দেশের একটি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। চোট পাওয়া আঙুল থেকে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে পুঁজ জমেছিল। ছোটো একটি অস্ত্রোপচার করে সেই পুঁজ বের করা হয়।

আপাতত সাকিবের আঙুলের যে পরিস্থিতি, তাতে নতুন করে ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত সার্জন গ্রেগ হয়ের পরামর্শ নেবেন তিনি। তারপরই ঠিক হবে কখন অস্ত্রোপচার হবে তার বাঁ হাতের কনিষ্ঠায়।

দেশ ছাড়ার আগে সাকিব সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে জানিয়েছেন, আঙুলটি আর কখনোই স্বাভাবিক হবে না। যেহেতু নরম হাড্ডি, আর কখনো জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। পুরোপুরি ঠিক হবে না। ইনফেকশনটা (সংক্রমণ) আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা। কারণ, সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো পার্সেন্টে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সার্জন অপারেশন করতে রাজী হবেন না। তাতে পুরো হাত নষ্ট হওয়ার শঙ্কা আছে। আমার ইনজুরির দিক থেকে এটা সব থেকে বড়। এর আগে যে সার্জারিটা হয়েছিল ওটা খুব বেশি দিনের না। যদি ওটা প্রথমেই সঠিক ট্রিটমেন্ট পেত, তাহলে অনেক কম সময়ে ঠিক হয়ে যেত।

বিজ্ঞাপন

সাকিব আরও জানান, এই মুহূর্তে হাতটা পুরোপুরি ঠিক হবে না, তবে খেলার মতো ঠিক করতে হবে আঙুলটা। সার্জারির মাধ্যমে হয়তো এমন হবে যেখান থেকে আমি ব্যাট ভালোভাবে ধরতে পারব, ক্রিকেট খেলাটা চালাতে পারব। তিন মাসের যে সময়সীমা, তার এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল। আমি আশাবাদী যে আগামী বছরের প্রথম থেকেই খেলতে পারব। দীর্ঘদিন খেলতে না পারাটা হতাশার। তবে, দলের কয়েকজন সিনিয়র খেলতে না পারলে সেটা দলের জন্য বড় রকমের কোনো প্রভাব ফেলবে না। এখন অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি, ওরা যদি ভালো ট্রিটমেন্ট দিতে পারলে আরও দ্রুত মাঠে ফিরতে পারবো। মূল সার্জারি হয়ে গেলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগবে। আশা করি বিপিএলের বেশ আগেই ফিট হয়ে যাব।

তার মাচে চলতি বছরে আর মাঠে ফেরা হচ্ছে না সাকিবের। আগামী জানুয়ারির বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরার আশা তার। তার আগে জিম্বাবুয়ে কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ কোনোটাতেই টাইগাররা পাচ্ছে না তাদের সেরা অলরাউন্ডারকে।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর