ভুলে মায়ের ক্যান্সারের ওষুধ খেয়ে নিষিদ্ধ শেহজাদ!
৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:০৬
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ‘পাকিস্তান কাপ’ চলাকালে গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে ডোপ টেস্ট করা হয় পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদের। ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ায় চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। তবে এবার শেহজাদ জানিয়েছেন, ভুল করে মায়ের ক্যান্সারের ঔষুধ খাওয়ার কারণেই ডোপ টেস্টে তার শরীরে নিষিদ্ধ বস্তু পাওয়া গেছে।
ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণের কারণেই শেহজাদকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে গত জুলাই মাসের ১০ তারিখ থেকে। চার মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে নভেম্বরের ১০ তারিখ।
শেহজাদ জানান, গত ৩ মে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ঘুরাচ্ছিল তার। স্ত্রীর কাছে গ্রাভিনেট নামের ওষুধ চেয়েছিলেন তিনি। তবে ভুলক্রমে তার মায়ের ক্যান্সারের ওষুধ এনে দিয়েছিলেন তার স্ত্রী। তবে না দেখেই ওষুধটা খেয়ে ফেলেন শেহজাদ। এরপর ডোপ টেস্ট করার পর তার রক্তে নিষিদ্ধ বস্তু পাওয়া যায়। এরপর নিজের ভুল স্বীকার করে পিসিবির কাছে নিজের মায়ের প্রেসক্রিপশন জমা দেন পাকিস্তানি এই ওপেনার। নিজের ডাক্তার ও ফিজিওর লেখা ওষুধের তালিকাও দিয়েছেন জমা দিয়েছেন তিনি।
পিসিবির অ্যান্টি-ডোপিং আইনের দুটি ধারা না মানার জন্য অভিযুক্ত করা হয় শেহজাদকে। তবে, নিজের অপরাধ মেনে নেওয়ায় তাকে বড় ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত হওয়ার পরপরই শেহজাদ জানিয়েছিলেন, তিনি কোনো প্রতারণা কিংবা পারফরম্যান্সের উন্নতির জন্য নিষিদ্ধ ঔষধ সেবন করেননি।
তবে জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হলে শেহজাদকে পুনর্বাসনের মধ্যদিয়ে ফিরতে হবে। তাতে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন অ্যান্টিং-ডোপিং সেমিনার কিংবা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হবে।
সারাবাংলা/এসএন