নিজের মাঠে দর্শক বাংলাদেশ, নিরূত্তাপ ফাইনাল ঢাকায়
১২ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৪১
।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: গেল সাফেও একই দশা হয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবলের। ঘরের মাটিতে দর্শক হয়েই ফাইনাল দেখতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পঞ্চম আসরের একই পরিণতি। ফাইনাল ম্যাচে দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ দেশের ফুটবল সমর্থকরা। তবে, সাফে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় আর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সেমিতে। পার্থক্য শুধু এখানেই। নিয়তি দুটারই এক। আরেকটি হতাশার গল্প লিখে বিদায়।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল একবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও কখনও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি। এর আগে ১৯৯৭ সালে প্রথম এবং ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাতির জনকের নামের টুর্নামেন্ট ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা’। তৃতীয় আসরের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল সুদীর্ঘ ১৫ বছর। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে আসর। পরের বছর ২০১৬ সালে হয় চতুর্থ এবং সর্বশেষ আসর। কিন্তু প্রতি বছর আসরটি আয়োজনের যে প্রতিশ্রুতি বাফুফে দিয়েছিল ২০১৭ সালে সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি তারা।
এক বছর বিরতি দিয়ে এবার আবারও তারা আয়োজন করেছে আসরটি। যদিও ২০১৬ আসরে ৮ দল অংশ নিলেও এবার দলের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬-এ। এশিয়ার পাঁচটি ফুটবল জোন আছে। এই ৫টি জোন থেকে ৫টি দেশ এবং স্বাগতিক বাংলাদেশকে নিয়েই আসরটি আয়োজিত হয়। সেই আসরের শেষ দিন শুক্রবার (১২ অক্টোবর)। আজই এই আসরের পর্দা নেমে যাবে ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে। সিলেট ও কক্সবাজার ঘুরে ঢাকার ময়দানে তাজিকিস্তান ও ফিলিস্তিন ম্যাচের মধ্য দিয়ে বিদায় নিবে পঞ্চম আসর। বের হবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
কেননা দুই ফাইনালিস্ট প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে। দুইদলই শিরোপার দাবিদার। চোখ দুইদলেরই ট্রফিতে।
তাজিকিস্তানের সামনে রয়েছে বদলা নেয়ার মওকা। গ্রুপপর্বের (‘এ’ গ্রুপ) মোকাবেলায় এই ফিলিস্তিনের কাছেই তারা হেরেছিল ২-০ গোলের ব্যবধানে। বৃহস্পতিবার দু’দলই শেষবারের মতো ঘাম ঝরায় অনুশীলনে।
অতীতে তাজিকিস্তানের ঢাকায় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের ট্রফি জয়ের স্মৃতি আছে। সেটা ২০০৬ সালে। ফিলিস্তিনও একই শিরোপা জিতেছে ২০১৪ সালে। তবে সেটা বাংলাদেশের মাটিতে নয়।
ফাইনালের আগে অবশ্য ফিলিস্তিনের চেয়ে তাজিকিস্তান একটু বেশি সময় পেয়েছে নিজেদের প্রস্তুত করতে। কেননা তারা সেমির ম্যাচ খেলে ৯ অক্টোবর। ফিলিস্তিন সেমির ম্যাচ খেলে তার একদিন পর।
হেড টু হেড লড়াইয়ে দু’দল এ পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে জয়ের পাল্লা ভারি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিনের। তারা জিতেছে ১টি ম্যাচে। মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের কোন জয় নেই। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়। গোলের ব্যবধানেও এগিয়ে রয়েছে ফিলিস্তিন। তাদের ৬ গোলের বিপরীতে তাজিকিস্তান করেছে ৪ গোল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে ফিলিস্তিন। তাদের র্যাঙ্কিং ১০০। আর তাজিকিস্তানের ১২০।
শিরোপা সংখ্যায়ও এগিয়ে ফিলিস্তিন। তারা এ পর্যন্ত জিতেছে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ আর নাগমা কাপ ট্রফি। আর তাজিকরা জিতেছে ১টি, এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ। আজকের ফাইনালে যে দলই জিতুক নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে টুর্নামেন্ট আর আরেকবার আক্ষেপের অপেক্ষা বাড়বে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমিদের।
সারাবাংলা/জেএইচ/এসএন