দেশে ফিরলেন সাকিব
১৪ অক্টোবর ২০১৮ ১২:০৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
আঙুলের চিকিৎসা শেষে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রোববার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
আঙুলে চোট নিয়েই এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। সেখানে ব্যথা বাড়ার কারণে আসরের মাঝেই দেশে ফিরে আসেন তিনি। এর পরেই অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ভর্তি হতে হয়েছিল দেশের হাসপাতালে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যান সাকিব। সেখানে প্রায় ১১ দিনের চিকিৎসা নিয়ে রোববার ফিরলেন তিনি। গ্রেগ হয়ের চিকিৎসা শেষে আপাতত দেশি চিকিৎসকদের অধীনেই চলবে তার চিকিৎসা।
রোববার বিমানবন্দরে ফিরে সাকিব জানান, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে অস্ত্রোপচার করা যাবেন না, ‘৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে সার্জারি করা যাবে না। করা যাবে না কারণ, যদি ইনফেকশন বোনের ভেতরে থেকে থাকে সেটা আসলে সরার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওখানে ব্লাড যায় না। যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিকরা ব্লাডের মাধ্যমে ছড়ায়..যেখানে ব্লাড যায় না সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে কাজ করবে। সো এটা সিউর হওয়ার জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কোনো সার্জারি করা যাবে না।’
আপাতত সার্জারি না করে কিভাবে খেলা যায় সেটাই ভাবছেন সাকিব, ‘তবে ভালো দিক হচ্ছে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারি করার সুযোগ নেই…আমি বলেন আর ফিজিওর পরামর্শে বলেন ওই দিকটা চিন্তা করা হচ্ছে যে সার্জারি বাদে কিভাবে খেলা যায়।’
তবে ঠিক কবে মাঠে নামছেন সেটা নিশ্চিত করেননি সাকিব, ‘এটা আসলে এমন একটা প্রবলেম যেটার আসলে কোনো টাইম ফ্রেম নাই। হতে পারে যে সামনের মাসেও খেলতে পারি। এখন আমার হাতে ব্যথা নেই। খুব ভালো অনুভব করছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার হাতের স্ট্রেন্থ কতক্ষণে ফিরে আসে। রিহ্যাবের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। যদি আসে তাহলে সামনের মাসেও খেলতে পারি।’
তবে রিহ্যাবের পর ব্যথা অনুভব করলে আবারো অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় থাকতে হবে সাকিবকে, ‘রিহ্যাবের পর যদি ব্যথা অনুভব করি, তাহলে আবার অপেক্ষা করতে হবে সার্জারির জন্য। এটা আসলে খুব আনসার্টেইন। আবার একটা জিনিস ভালো যে ইনফেকশন হবার পর এখন সেটা কমে গেছে। এখন সার্জারি বাদেও খেলা যেতে পারে। যদি তা হয় তাহলে সেটা হবে সবথেকে বেস্ট অপশন। বাট এটা আসলে কনফার্ম বলাটা মুশকিল। বললাম যেটা, হতে পারে একমাস পরেও খেলতে পারি আবার ছয় মাসও লাগতে পারে। আশা করি একমাস পরই খেলতে পারব। তারপরও যেহেতু স্ট্রেন্থ আসার ব্যাপার আছে। একমাস হয়তো হবে না। একটু সময় বেশিই লাগবে।’
এর আগে গ্রেগ হয়ের কথায় জানা গেছে, ক্ষত শুকাতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে, এরপর আঙুল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার কথা। সবকিছু মিলে মাঠে ফিরতে তিন মাসের মতো লেগে যেতে পারে।
সারাবাংলা/এএম/এসএন