Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আগের চেয়ে বাংলাদেশ দল এখন বদলে গেছে’


১৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৫০

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এবারের অনুশীলন পর্বটা বাংলাদেশ দলের জন্য ছিল একটু অন্যরকম। শুধু মাঠেই অনুশীলন করেনি দল, মনোবিদ ড আলী আজহারের সঙ্গে দুইটি সেশনও করেছে। এমন সেশন আগেও করেছে বাংলাদেশ। তবে এই বছর বাংলাদেশ দল বার বার শেষে এসে ম্যাচ হেরে যাওয়ার কারণে এবারের পর্বটা ছিল অন্যরকম। দুই দিনের এই সেশনের পর আজ মিরপুরে কথা বলেছেন, প্রচারমাধ্যমের সাথে, বিনিময় করেছেন অভিজ্ঞতা।

বিজ্ঞাপন

ড আজহার বলছেন, বাংলাদেশ দল আগের চেয়ে অনেকটাই বদলে গেছে এখন। তীরে এসে তরী ডোবাটাও দেখছেন ইতিবাচকভাবে, ‘আগের সাথে এখনকার তুলনায় করলে বলব, তারা অনেক বেশি বদলে গেছে। এখন তাদের ভেতর অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস রয়েছে,মানসিক দিক থেকেও অনেক শক্ত হয়েছে তারা। কিন্তু আমরা এখন এটাকে খুব ক্লোজ মার্জিনে এসে এটাকে ধরে রাখতে পারি না। আসলে এই পর্যায়ে আসাও অনেক কোয়ালিটির ব্যাপার। তারা যেমন এই পর্যায়ে আসছে, তীরে আসার পর নৌকার ওজন যখন বেশি হয়ে যাচ্ছে, ওই সময়টা আর রাখতে পারছে না। আমাদের সুপ্ত প্রতিভাকে আরও বেশি বিকশিত করার চেষ্টা করতে হবে, যাতে আমরা সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে সবকিছু মেন্টেইন করতে পারি, অবশ্যই এটা একটা স্কিল। এটা অর্জন করার জন্য প্র্যাকটিস করতে হবে। আমরা যখন স্কিল ট্রেনিং করব প্রতিদিন, তখন এই মেন্টার মাসল গুলো ডেভলপ হবে। এখন পর্যন্ত এটাই আমার মনে হয়েছে। এখন আমাদের পরের ধাপে যেতে হবে। ’

ড আজহারের মতে, খুব শিগগিরই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবে দল, ‘আমরা সব দেশকেই হারাচ্ছি, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। এই বিশ্বাসটা যখন আরও শক্ত হবে, তখন ধারাবাহিকতা আরও বাড়বে। আমরা টুর্নামেন্ট গুলোতে যখন কাছাকাছি চলে আসি, তখন কিন্তু প্রত্যাশার চাপ অনেক বেড়ে যায়। তখন এই মেন্টার টাফনেস, মেন্টার মাসল গুলো স্টং না হলে আমরা সেটাকে মেন্টেইন করতে পারি না। যদি আমরা ওই মেন্টার মাসলটা ডেভলপ করি, তাহলে এটা সম্ভব। ’

বিজ্ঞাপন

এমন সেশন নিয়মিত ভিত্তিতেই হওয়া উচিত বলে করেন, ‘যখন এই রকম সেশন হয়, সবাই খুবই ইন্সপায়ারেশন খুঁজে পাই। আপনি যখন কোন মুভি দেখেন, তখন আপনি খুব ইন্সপায়ারেশন অনুভব করেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেটা হারিয়ে যায়। সেজন্য আমরা কি করি, আমাদের ফিটনেস ট্রেনারের কাজ কি, শুধু মাত্র নতুন নতুন ফিটনেস ট্রেনিং শেখানো নয়,নিয়মিত যেন রুটিনটা মেন্টেইন করা যায়, সেই জন্য। সাইকোলজিও একই রকম, সবার জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই পুরোপুরি না হলেও এমন সেশন আরও হওয়া উচিত।

অনেক সময় পারসনালি সেশন করে থাকে। কিন্তু আমি যখন এমন সেশন করি, তখন সবাইকেই অনেক ইন্সপায়ারড মনে হয়। তারা চায় এমন সেশন আরও হোক। আমরা যদি এমন সেশন গুলো সিস্টেমের অংশ করে নিতে পারি, কন্টিনিউশনটা রাখতে পারি, তাহলে আমরা দ্রুত লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।’

সারাবাংলা/এএম/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর