শীর্ষে থাকতে এক গোল দূরে নেইমার
২৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৪৪
।। মুশফিক পিয়াল, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ।।
ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে পেলে। আজকের এই দিনে যিনি জন্ম নিয়েছিলেন। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রাজিল কিংবদন্তির পরেই শীর্ষ গোলদাতার আসনে রয়েছেন রোনালডো। আর তিন নম্বরে রয়েছেন ব্রাজিলের বর্তমান সেরা তারকা নেইমার। তবে, রোনালডো-পেলেকে একদিক থেকে আগেই টপকে গেছেন নেইমার। ব্রাজিলের কোনো ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এবার এককভাবে নিজেকে বসানোর সুযোগ পাচ্ছেন পিএসজির এই তারকা।
ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে পেলে ৯২ ম্যাচে করেছেন সর্বোচ্চ ৭৭ গোল। রোনালডো ৯৮ ম্যাচ খেলে করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬২ গোল। আর তিনে থাকা নেইমার ৯৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ৫৯ গোল। ৭০ ম্যাচ খেলে ৫৫ গোল করে এই তালিকায় চারে রয়েছেন রোমারিও।
আগামীকাল রাতে ইতালিয়ান জায়ান্ট নাপোলির বিপক্ষে খেলতে নামবে পিএসজি, খেলতে নামবেন নেইমার। এই ম্যাচে একটি গোল করলেই ব্রাজিলিয়ান কোনো খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ ৩১টি গোল হবে নেইমারের। সেটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরে। এর আগে ব্রাজিলের সাবেক অধিনায়ক কাকা করেছেন ৩০টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গোল। বার্সার সাবেক তারকা নেইমারও করেছেন সমান ৩০টি গোল। কাকা ইতালির ক্লাব এসি মিলান, স্পেনের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৮৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৩০টি। আর নেইমার স্পেনের বার্সা, ফ্রান্সের পিএসজির হয়ে ৪৯ ম্যাচ খেলেই গোল করেছেন কাকার সমান ৩০টি। এবার কাকাকে টপকে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা নেইমার ব্রাজিলের কোনো ফুটবলার হিসেবে নিজেকে এককভাবে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
ব্রাজিলের জার্সিতে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে ইংলিশ লিগের ক্লাব চেলসিতে খেলছেন উইলিয়ান। তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরে ৬৪ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৭টি। পোর্তো, সেন্ট পিটার্সবার্গের হয়ে খেলা হাল্ক চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৫০ ম্যাচে গোল করেছেন ১৭টি। ফরাসি ক্লাব লিঁওর হয়ে খেলা জুনিনহো ৫৯ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলে করেছেন ১৮টি গোল। পিএসজি, বার্সা আর এসি মিলানের হয়ে ৪৭ ম্যাচ খেলে এই টুর্নামেন্টে ১৮টি গোল করেছেন রোনালদিনহো। শাখতার দোনেস্ক, এসি মিলান, স্পারটার্ক মস্কোর হয়ে খেলা লুইজ আদ্রিয়ানো ৪৭ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ২১টি।
এসি মিলান, বায়ার্ন মিউনিখ, লিঁও, বরুশিয়া মনচেনব্লাখের হয়ে খেলা জিওভানি এলবার ৬৯টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলে করেছেন ২৫ গোল। পোর্তো, গ্যালাতাসারের মতো ক্লাবে খেলা মারিও জারদেল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলেছেন প্রায় ১৭টি ক্লাবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরে তিনি ৪৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ২৫ গোল। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সা আর ইতালির ক্লাব এসি মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৭৩ ম্যাচ খেলে রিভালদো করেছেন ২৭টি গোল।
গত মৌসুমে বার্সা ছেড়ে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে নাম লেখান নেইমার। সাবেক ক্লাব সান্তোসের হয়ে ২২৩ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৩৬টি। বার্সায় চার মৌসুমে ১৮৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১০৫টি। আর গত মৌসুমে পিএসজিতে নাম লিখিয়ে ইনজুরিতে পড়ে শেষ দিকে ম্যাচ খেলতে পারেননি নেইমার। সেবার ৩০ ম্যাচে করেছিলেন ২৮ গোল। আর এই মৌসুমে ১১ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১১টি। তাতে পিএসজির জার্সিতে এরই মধ্যে ৪১ ম্যাচ খেলে নেইমারের গোল সংখ্যা ৩৯টি। আর ক্লাব ক্যারিয়ারে ৪৫০ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ২৮০টি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ আর বর্তমানে জুভেন্টাসে খেলা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ এই তারকা করেছেন সর্বোচ্চ ১২১ গোল। দুইয়ে আছেন আর্জেন্টিনার তারকা লিওনেল মেসি। বার্সায় ক্যারিয়ারের পুরোটা কাটানো মেসি করেছেন ১০৫ গোল। শীর্ষ দলে নেই কোনো ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। তিনে আছেন স্পেনের রাউল গঞ্জালেস (৭১)। চার থেকে দলে আছেন যথাক্রমে নেদারল্যান্ডসের ভ্যান নিস্টেলরয় (৬০), উইক্রেনের শেভচেঙ্কো (৫৯), ফ্রান্সের করিম বেনজেমা (৫৬), থিয়েরি অঁরি (৫১), ইতালির ফিলিপো ইনজাঘি (৫০), আর্জেন্টিনার আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (৪৯) এবং সুইডেনের জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (৪৯)।
সারাবাংলা/এমআরপি