শেষ ম্যাচেও খুব বেশি পরিবর্তন নেই?
২৫ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:২৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে ।।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে দুইটি ওয়ানডে জেতায় বাংলাদশ দল এখন অনেকটাই নির্ভার। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) অনুশীলনেও ছিলেন মাত্র পাঁচজন। এর মধ্যে বুধবারের ম্যাচ না খেলা রুবেল, শান্ত, রনি, আরিফুলরাও ছিলেন। সৌম্যও ছিলেন ঐচ্ছিক অনুশীলনে। বুধবারের ম্যাচে কি এদের সবাই সুযোগ পাবেন? মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষার সম্ভাবনা দেখছেন না। আভাস দিলেন, এক দুইটির বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
বৃহস্পতিবার টিম হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘সৌম্য হয়ত কালকে দলের সাথে যোগ দিয়েছে। তবে তার ক্ষেত্রে কি হবে সেটি এখনও জানি না। তবে এখন দুই একটি খেলোয়াড়কে দেখা যেতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, যেহেতু বিশ্বকাপের আগে তেমন বেশি ম্যাচ নেই, তাই যাদেরকেই চিন্তা করা হয় তারা যদি ফর্মে নাও থাকে এরপরেও তাদেরকে খেলিয়ে আরও ভালভাবে প্রস্তুত করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিকল্প কখনও আট মাসে তৈরি হয় না। সুতরাং যাদের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ বেশি তাদেরকে খেলিয়ে তাদের পারফর্মেন্স দেখে দলে নিশ্চিত করা এবং ঠিক করা যে তারা বিশ্বকাপে খেলবে। এই ধরণের মানসিক সাপোর্ট তাদেরকে দেয়া যেতে পারে।’
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নও উঠল। কিন্তু মাশরাফি বললেন, তাদের জায়গায় সেভাবে বিকল্প নেই, ‘দেখুন চার নম্বরের বিকল্প তো আমাদের এখানে নেই। পাঁচেও মিথুনের ব্যাকআপ মিথুনই আছে। ছয়ে রিয়াদ খেলছে, আর সে ওখানেই খেলবে। এখন যদি আপনি রিয়াদের ব্যাকআপ খুঁজতে চান তাহলে আমার কাছে মনে হয় নতুন একটি দল নিয়ে সেটি করতে হবে। আর যারা আছে তাদের পজিশন অনুযায়ী বসানো যায়। যেমন আরিফকে একটি সুযোগ অবশ্যই দেয়া যায়। আবু হায়দার রনি আছে। এছাড়াও রুবেলকে নিজেকে প্রমাণ করেছে। তেমন সমস্যা নেই তার। শান্ত যদিও পর পর তিনটি সুযোগ বড় মঞ্চে পেয়েছে, হয়তো সামনেও পাবে।’
তবে শেষ ম্যাচে এক দুইটি জায়গা নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, ‘আমার কাছে মনে হয়, বসানোর ক্ষেত্রে একজন নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে যে সে কি চায়। যেমন মুশফিক দেখেন গতকাল (২৪ অক্টোবর) ৪০ রানে অপরাজিত ছিল। এটি ও অনুভব করে যে এতে তার আগামীতে ফর্মে থাকতে সুবিধা হবে। এটি ম্যান টু ম্যান আসলে নির্ভর করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রস্তুতি বা সামনে এগিয়ে যেতে বা ফর্ম কিভাবে ধরে রাখতে এগুলো কিন্তু নির্ভর করে। যেমন রিয়াদের কথা যদি বলেন, যে সে প্রথম ইনিংসে রান করেনি সুতরাং সে অবশ্যই চাইবে খেলতে। এই জিনিসগুলো কিন্তু অনেক সময় ম্যাটার করে। আমার কাছে মনে হয় সবাইকে তো সরানো যাবে না। একটি দুইটি জায়গা আছে যেগুলো নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে।’
নিজের চোট কতটা গুরুতর সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠল। আঙুল ও কুঁচকির চোট ভোগাচ্ছে ভালোমতোই। মাশরাফি অবশ্য কালকের ম্যাচে বিশ্রামের কোনো ইঙ্গিত দিলেন না, ‘দেখুন আমি তো একটি ফরম্যাটে খেলি। সুতরাং যেভাবেই হোক সবসময় খেলতে চাই। অন্যদের মত না যারা টেস্ট খেলে, কিংবা টি-টোয়েন্টি খেলে। অথবা ঘরোয়া লীগে চার দিনের ম্যাচ খেলে। আমার জন্য তো সেটা না। আমি তো একটি ফরম্যাটে খেলি। তো এখানেও যদি বিশ্রাম নেই তাহলে বেশ কঠিন হয়ে যায় নিজেকে সেট করা। তবে কিছু ইনজুরির কারণে সমস্যা হচ্ছে, হচ্ছে না যে এমন না। তবে এই সিরিজের পর চার-পাঁচ সপ্তাহ সময় আছে। হয়তো বা একটু ভাল ট্রিটমেন্ট দরকার আমার। সেটি সম্ভব এরপরে। এখন দেখি এরপরেও কোচ এবং নির্বাচকেরা আলোচনা করার পরে দেখা যাবে।’
সারাবাংলা/এএম/এসএন
ছবি: শ্যামল নন্দী
বাংলাদেশ ক্রিকেট বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ মাশরাফি বিন মর্তুজা