।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: এক ঝাঁক তারকা আর চমকে ভরা নবাগত দল বসুন্ধরা কিংস ক্লাবের যাত্রাটা শুভ হলো। ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফেডারেশন কাপ মিশন শুরু করেছে নবাগত ক্লাবটি। সাদা-কালোদের হারিয়েছে ৫-২ ব্যবধানে।
স্কোরটা যেন অনুমিত ছিল। তবে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যদিও ম্যাচটা একটা সময় পর্যন্ত স্কোরলাইনটাকে বিচার করে না। ৬৮ মিনিট পর্যন্ত সমান তালে খেলে গিয়েছে মোহামেডান। তকলিসের লাল কার্ডের পর মতিঝিল জায়ান্টদের চেপে ধরে একেবারে গোল আদায় করেছে অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা।
এ ম্যাচ যেন কোস্টারিকান বিশ্বকাপ খেলুড়ে ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিনড্রেসের যাদু ছিল। পুরো ম্যাচজুড়ে তারই শো দেখা গিয়েছে আক্ষরিক অর্থে। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও তালগোল পাকিয়ে যদিও সুযোগ নষ্ট করেন কলিনড্রেস।
ম্যাচের উত্তেজনা মাথায় নিয়ে প্রথম লিডটা নেয় মোহামেডানই। ১৮ মিনিটে ল্যান্ডিং ডারবোয়ের গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। বাঁ দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে কিংসলে চিগোজির বাড়ানো বল এক ডিফেন্ডারের পায়ে লাগার পর পেয়ে যান দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা ল্যান্ডিং। ফাঁকা পোস্টে সহজেই সুযোগ কাজে লাগান গাম্বিয়ার এই মিডফিল্ডার।
তিন মিনিট পর পোস্টের বাধায় সমতায় ফেরা হয়নি বসুন্ধরার। ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মার্কোস ভিনিসিয়াসের নেওয়া ছোট ফ্রি-কিক কলিনড্রেস থামিয়ে দেওয়ার পর মার্কোসের শট দূরের পোস্টে লেগে ফিরে।
২৮তম মিনিটে মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে ডি বক্সের মধ্যে মিন্টু শেখ ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বসুন্ধরা। সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান কলিনড্রেস।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে কলিনড্রেসের বাড়ানো বল ধরে একা গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপুর গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন মার্কোস।
৬৬তম মিনিটে কিংসলেকে ডি-বক্সের মধ্যে মিতুল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ডারবোর লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় মোহামেডান। পাঁচ মিনিট পর স্পেনের হোর্হে গতোর ব্লাসের জোরালো শটে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা।
একটু পর তকলিস আহমেদ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান। এরপর খেই হারিয়ে ফেলে দলটি। ৭৮তম মিনিটে ইব্রাহিমের আড়াআড়ি পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে নেন মতিন মিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দুই গোল করে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা। সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও নিজে শট না নিয়ে মার্কোসকে দিয়ে গোল করান কলিনড্রেস। এরপর মোহামেডানের কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দেন ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডার।
সারাবাংলা/জেএইচ