Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বকাপ ফুটবলার ‘শো’ দেখলো ঢাকা


২৯ অক্টোবর ২০১৮ ২০:৫০

।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ‘যেন আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন’। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আজকে হাজার দুয়েক দর্শক আর জাদুবাক্সে কয়েক শ’ দর্শক তার যাদু দেখার অপেক্ষায় ছিলেন জাগ্রত। ঢাকার মাটিতে প্রথম পেশাদার ম্যাচ খেলার জন্য যখন মাঠে পা রাখলেন গ্যালারি থেকে ধেয়ে আসছিলো ডাক- ‘কলিনদ্রেস’ ‘কলিনদ্রেস’।

গেল রাশিয়া বিশ্বকাপে কোস্টারিকার জার্সিতে মাঠ দাঁপানো ফুটবলার যখন ঢাকায় খেলবেন এমন ডাক হরহামেশায় ধেয়ে আসবে তার দিকে এটাই স্বাভাবিক। তবে সেই ডাকের সাড়া দিয়ে নিজের নামের বিচারও করেছেন এই কোস্টারিকান ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস।

ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের প্রথম ম্যাচে যেন তারই শো দেখলো বাংলাদেশ। গোল করলেন। হাতের মোয়ার মতো বল বানিয়ে গোল করালেন সতীর্থকে। মাঠজুড়ে প্রাণবন্ত ড্রিবলিং সঙ্গে রক্ষণচেড়া পাস। সব মিলিয়ে নিজের স্বার্থকতা প্রমাণ করলেন। ম্যাচ শেষে তার নামের পাশে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও। যদিও ম্যাচের পারফরমেন্সে এই পুরস্কার একটু নস্যি ঠেকে। বলতে গেলে মোহামেডান আজ তার একার কাছেই হেরেছে আক্ষরিক অর্থে।

ম্যাচজুড়ে ততোধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। সতীর্থ ব্রাজিলিয়ান মার্কোস ভিনিসিয়াসই তার কাছ থেকে বল পেয়ে একা মিস করেছেন হালিখানেকেরও বেশি গোল। নাহলে ব্যবধানটা ৫-২ না হয়ে ৮-২ হলেও ভুল বলা হতো না!

প্রথমার্ধে একাধিক গোল করিয়ে দেয়ার সুযোগ তৈরি করেছেন কলিনদ্রেস। সেই মিসগুলো এসেছে মার্কোসের পা থেকে। নিজেও যখন গোল করে পিছিয়ে থাকা বসুন্ধরা ক্লাবকে সমতায় ফেরালেন তারপরে আরও তেতিয়ে উঠলেন। ম্যাচের শেষদিকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও নিজে গোল না করে একেবারে ‘হাতের মোয়ার’ মতো বানিয়ে গোল করিয়েছে গোলহীন মার্কোসকে।

তবে এমন জয়ের পরেও যখন ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন, সাংবাদিকদের কাছে আরও নমনীয় হলেন। কৃতিত্ব দিলেন পুরো দলকে। মাটিতে পা রেখে কলিনদ্রেস বলেন, ‘আমি খুশি। দলের পারফরমেন্সে প্রভাব রাখার জন্য ভালো লাগছে। পুরো দল ভালো করুক এটাই আমার আশা। আমরা দল হিসেবে খেলতে চাই। ভালো খেলা উপহার দিতে চাই।’ সঙ্গে সতীর্থদের বিষয়েও ইতিবাচক কথা বললেন ম্যাচের ব্যবধান নির্ধারক এই কোস্টারিকান, গোলকিপার বিপু, সুফিল, মতিন, জনি, সবুজ, গোটর সবাই দুর্দান্ত ফুটবলার। সবাই দলের জন্য খেলেছে। সামনে জয়ে ধারা অব্যাহত থাকুক।’

যেভাবে খেলে যাচ্ছেন তাতে অব্যাহত না থেকে উপায় নেই। জাতীয় দলের তারকা আর ভালো বিদেশি দলে ভেড়িয়ে যেন সব ট্রফি বগলদাবা করার নেশায় আছে বসুন্ধরা। দেশের ফুটবলে প্রতিদ্বন্দ্বিতটাও তাই বেড়েছে।

সারাবাংলা/জেএইচ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর