অভিষেকের অপেক্ষায় সিলেট, আত্মবিশ্বাসী মাহমুদউল্লাহ
২ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৪৯
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম দিয়ে শুরু, এরপর আরও সাতটি টেস্ট ভেন্যু দেখেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১২ সালে অভিষেক হয়েছিল খুলনার, এরপর আর কোনো নতুন টেস্ট ভেন্যু দেখেনি বাংলাদেশ। অবশেষে শনিবার (৩ নভেম্বর) অষ্টম ভেন্যু হিসেবে শুরু করতে যাচ্ছে সিলেট। তার আগে সোমবার (২ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বললেন, এই টেস্টে জিম্বাবুয়েকে হারানোর ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে সিলেটের যাত্রা শুরু। ছেলেদের বাছাইপর্ব ও মেয়েদের মূল পর্ব মিলে সেই বছর ৩০টি ম্যাচ হয়েছিল এই স্টেডিয়ামে। এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপসহ আরও নানা আয়োজন হয়েছে সিলেটে, গত বছর বিপিএল শুরু হয়েছিল সবুজে মোড়া এই ভেন্যুতে। এই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই মাঠে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছে। শনিবার টেস্ট অভিষেক হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
এখন পর্যন্ত যে সাতটি ভেন্যুতে টেস্ট হয়েছে বাংলাদেশে, তার প্রতিটিতেই প্রথম ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। সিলেটে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে অবশ্য গত ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। টেস্টের আগে সাকিব-তামিম না থাকলেও বাংলাদেশই ফেবারিট। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, তবে জিম্বাবুয়েকে ছোট করে দেখছেন না, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা আশানুরূপ, আসলে আশানুরূপ না..আমরা ভালো করতে পারিনি। আমাদের এখানে অনেক সুযোগ আছে উন্নতি করার। সামনে ওদের বিপক্ষে আমাদের হোম কন্ডিশনে একটা সিরিজ আছে। আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ এই দুই ম্যাচে।’
নিজেদের শক্তি কাজে লাগানোর প্রত্যয় জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমরা যদি প্রথম ম্যাচে আমাদের স্কিলগুলোকে কাজে লাগিয়ে একটা ভালো ফল আনতে পারি তাহলে ওই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা সেকেন্ড টেস্টে যেতে পারব। যদি বড় গোলের কথা চিন্তা করি…সামনে আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ আছে ওটা আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। তারপরও জিম্বাবুয়ে খুবই ভালো দল। আপনি যদি ওয়ানডের তিনটা ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখেন…আমরা অবশ্যই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ওরাও ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা ওদের থেকে ভালো খেলে হোম সিরিজটা জিতেছি। তো ওই সুযোগটা যদি না দেই এবং আমাদের সুযোগ আছে টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করার। সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
এই বছর প্রথম অধিনায়ক হয়েছিলেন টেস্টে। সাকিবের অনুপস্থিতিতে আবার সেই দায়িত্ব পেলেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে সেটা এবার ঠিকঠাক পালন করতে চান, ‘এটা ঠিক যে অধিনায়কত্ব আমাকে আমার খেলায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ দেয়। আমাকে প্রভাবিত করে এবং বাড়তি দায়িত্ব এনে দেয় যে আমি যেন আমার বেস্ট আউটপুট টিমের জন্য দিতে পারি। আমার মনে হয় যদি অধিনায়কত্ব করি কিংবা না করি…আমার কাছে মনে হয় আমাকে আগে খেলোয়াড় হিসেবেও চিন্তা করতে হবে যে দলকে কিভাবে সার্ভিস দিচ্ছি। এটাও চিন্তা করি। এ দায়িত্বটা আসলে উপভোগ করি এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে পছন্দ করি। আমার মনে হয় এটা আমাকে খেলায় ও সাহায্য করে।’
সাকিব-তামিম না থাকাটা অন্যদের জন্য সুযোগ বলেও মনে করেন, ‘সাকিব সব সময় আপনাকে ওই ব্যালেন্স এনে দেয়। সাকিব যেহেতু নেই তাই আমাদের এক্সট্রা ব্যাটার কিংবা বোলার নিয়ে খেলতে হবে। তো সাকিব থাকলে টিমের ব্যালেন্স নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হয় না। বাট এখন যেটা সবথেকে বড় সুযোগ..বারবার এ কথাটা বলি এটা তরুণদের জন্য এবং আমাদের সবার জন্য প্রোপার একটা সুযোগ যেন আমরা ভালো পারফর্ম করতে পারি। তামিম-সাকিব যেহেতু নেই সবার জন্য এটা সমান সুযোগ। আমার জন্যও তাই। আমরা ওই সুযোগটিকে কিভাবে দেখছি এবং আমরা কতটুকু উদগ্রীব আছি পারফর্ম করার জন্য। এই চ্যালেঞ্জ গুলো আমাদের নিতে হবে। খেলোয়াড়রা সবাই সুযোগের অপেক্ষা আছে এবং সবাই ভালো পারফরম্যান্সের জন্য অপেক্ষায় আছে। ’
শনিবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট।
সারাবাংলা/এএম/এসএন