Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

র‌্যাঙ্কিং পিছিয়েছে ৪৫, ২০ মাস পর মাঠে সাবিনারা


৪ নভেম্বর ২০১৮ ২৩:১৬

।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: দেশের বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলের শিরোপার ভিড়ে অনেকেই হয়তো ভুলেই গেছেন জাতীয় নারী ফুটবল নিয়ে। শেষ কবে জাতীয় দলের মেয়েরা মাঠে নেমেছিল? ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে সিঙ্গাপুরের জালান বেসার স্টেডিয়ামে শেষ ফ্রেন্ডলি ম্যাচটি খেলেছিল সাবিনরা। এরপর কেটে গেছে প্রায় দুই বছর। মাসের হিসেবে ২০ মাস! মাঠে নেই মেয়েরা।

এর মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়েও নেই কোনও উন্নতি। বরং ম্যাচ না খেলার দরুণ ২০১৭ সালে ১০০ তম অবস্থানে থাকা সাবিনারা এখন ১৪৮তম। পিছিয়েছে ৪৮ ধাপ। ২০ মাসের খরা কাটতে যাচ্ছে মেয়েদের। মিয়ানমারে অলিম্পিক গেমস ফুটবলের এশিয়ান বাছাইপর্ব খেলতে সোমবার রওনা দিচ্ছে গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।

বিজ্ঞাপন

ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে সিনিয়র নারী সাফ। তারই প্রস্তুতি মূলথমিয়ানমারে অলিম্পিক গেমস ফুটবলের এশিয়ান বাছাইপর্ব। বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতিপক্ষ আয়োজক মিয়ানমার, নেপাল ও ভারত। অলিম্পিককে ঘিরে প্রস্তুতিতে দলের একমাত্র সিনিয়র সদস্য সাবিনা খাতুন। বাকী সবাই ১৯ বছরের নিচে।

তবে, এ আসর থেকে অভিজ্ঞতাছাড়া বড় কিছু আশা করেন না কোচ। টুর্নামেন্টকে সিনিয়র নারী সাফের প্রস্তুতি সফর হিসেবেই দেখছেন আপাতত।

লাগাতার টুর্নামেন্টের মধ্যেই আছেন মেয়ে ফুটবলাররা। সেপ্টেম্বর থেকে এ যাবত তিনটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে বড় ধকল যেতে না যেতে অলিম্পিক গেমসের বাছাইপর্ব চলে এসেছে একেবারে সামনে। তাজিকিস্তানে এএফসি মিশন শেষ করে দম নেয়া ফুরসত নেই সাবিনা-কৃষ্ণাদের। লেগে পড়তে হচ্ছে এই টুর্নামেন্টে।

অলিম্পিকের এই মিশনে তাজিকিস্তান মিশনের স্কোয়াডই অপরিবর্তিত থাকছে। শুধু দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন সিনিয়র ফুটবলার সাবিনা খাতুন।

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক গেমসের নারী ফুটবলের জন্য এ লড়াইয়ে বাছাইপর্বে অংশ নিচ্ছে বাঘিনীরা। বয়সের কোন সীমা নেই। তাই সিনিয়র দল নিয়েই মাঠে নামছে সবগুলো দলই। বাংলাদেশ আছে সি গ্রুপে। প্রতিপক্ষ ভারত, নেপাল ও আয়োজক দেশ মিয়ানমার। তিন দলই প্রতিপক্ষ হিসেবে কঠিন। সবশেষ সিনিয়র সাফে ভারতের কাছে হেরেই রানার্স আপ হয়েছিল বাংলাদেশ।

চার গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নসহ দুই সেরা রানার্স আপ দল দ্বিতীয় পর্বের টিকিট পাবে। আগামী বছরের এপ্রিলে চীন, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে যোগ দিবে বাছাইপর্ব থেকে সুযোগ পাওয়া দলগুলো।

৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বাছাইপর্বে বাংলাদেশের সুযোগ কেমন? এমন প্রশ্নে লাল-সবুজদের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের কথা, ‘বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে। কারণ সবাই সিনিয়র দল। ভালো দল সবগুলো। আমরা অভিজ্ঞতা নিতে যাচ্ছি। সামনে সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আছে। সেটার প্রস্তুতি হবে এ বাছাইপর্বের মাধ্যমে।’

প্রতিবার কোনও না কোনও টার্গেট দিয়ে থাকেন ছোটন। এবার আর পা বাড়ালেন না সেদিকে, ‘আসলে আমাদের দলের বেশিরভাগ ফুটবলারের বয়স আঠারোর নিচে। সাবিনা শুধু দলের সঙ্গে যোগ দিবেন। তাই কঠিন চ্যালেঞ্জই হবে আমাদের জন্য। আশা করবো ভালো খেলতে।’

৮ই নভেম্বর আয়োজক দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ১১ নভেম্বর। শেষ ম্যাচ ১৩ নভেম্বর নেপালের সঙ্গে। মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াংগুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে হবে সবকটি ম্যাচ। আগামী ৫ নভেম্বর সকালে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে মেয়েরা।

সারাবাংলা/জেএইচ

অলিম্পিক গেমস ফুটবল এশিয়ান বাছাইপর্ব বাংলাদেশ মিয়ানমার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর