এনামুল, সাকিব, মিরাজের পর তাইজুল
৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:২৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
প্রথম কীর্তিটা ছিল এনামুল হক জুনিয়রের। সেই ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক টেস্টে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দুই ইনিংস অন্তত ১০ উইকেট নেওয়ার সেটিই প্রথম কীর্তি। এরপর টেস্ট ক্রিকেটে আরও ১৩ বছর পার করে ফেলেছে বাংলাদেশ, কিন্তু সেই কীর্তিটা করতে পেরেছেন মাত্র তিন জন। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজের পর সর্বশেষ যেটি করলেন তাইজুল ইসলাম।
প্রথম ইনিংসেই তাইজুল নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। টেস্টে এর আগে এক ইনিংসে ৮ উইকেটও পেয়েছেন, কিন্তু ম্যাচে ১০ উইকেট পাওয়া হয়নি কখনো। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেটের পরেই সেই সম্ভাবনা জেগেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে সোমবার (৫ নভেম্বর) সকালে প্রথম সাফল্য পান ব্রেন্ডন টেলরকে আউট করে। তাইজুলের বল মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন টেলর। পরের উইকেটটা সব এয়ে বেশি মূল্যবান, সেটি অবশ্য তাইজুল উপহারই পেয়েছেন। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে গেছেন প্রথম ইনিংসে ৮৮ রান করা ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস।
এরপর প্রথম বলেই পিটার মুর ক্যাচ দিয়েছেন সিলি মিড অফে, হয়েছেন তাইজুলের তৃতীয় শিকার। সিকান্দার রাজাও নিচু হয়ে আসা বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে আউট হয়ে গেছেন। আর তাতেই ম্যাচে ১০ উইকেট হয়ে গেছে তাইজুলের। চাতারাকে আউট করে শেষ উইকেটও নিয়েছেন। ১৭০ রান দিয়ে ম্যাচে পেয়েছেন ১১ উইকেট, টেস্টে এটি বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সেরা বোলিং।
বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচে ১০ উইকেট চার জন নিলেও সাকিব আল হাসানের সেই কীর্তি আছে দুই বার। প্রথমবার ২০১৪ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পেয়েছিলেন ১০ উইকেট। আর গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন স্মরণীয় এক জয়। আর ২০১৬ সালে মেহেদী হাসান মিরাজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়েছিলেন দুই ইনিংস মিলে ১২ উইকেট। সেটাই টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সেরা বোলিং।
বাংলাদেশের হয়ে যে চার জন এক ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন, সবাই স্পিনার। বাংলাদেশি কোনো পেসারের সেরা বোলিং করার কীর্তিটা রবিউল ইসলামের, ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। সেবারই সর্বশেষ কোনো বাংলাদেশি পেসার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন।
এ নিয়ে ২০ টেস্টে ৮০ উইকেট হলো তাইজুলের। অভিষেকের পর একই সময়ে সাকিব নিয়েছেন ৭৪ উইকেট।
সারাবাংলা/এএম/এসএন