Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কিন্তু খেলারই কথা ছিল না সবুজের…


২০ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৪১

।।স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকাঃ ম্যাচটা টাইব্রেকার ভাগ্যে পেন্ডুলামের মতো ঝুলছিল। দুই মিনিট বাকী তখন। ডি বক্সের বাইরেই কলিনদ্রেসের পায়ে বল। স্টেডিয়ামে আসা শেখ রাসেলের সমর্থকদের বুকে ধুকধুক। এই বুঝি শেষ! কোস্টারিকানের গতির শটটা যখন বার কাঁপিয়ে ফিরলো তখনও হাফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ ছিল কই? একেবারে উড়ে এসে জালে বল জড়ালেন বদলি হিসেবে খেলতে নামা তৌহিদুল আলম সবুজ।

ম্যাচের আগেও সবুজের খেলা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন খোদ কোচ অস্কার ব্রুজোন। উরুর ইন্জুরিতে সবুজ মাঠে নামতে পারছেন বলে জানিয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের এই স্প্যানিশ কোচ।

বিজ্ঞাপন

একাদশেও রাখা হয় নি তাকে। কিন্তু ৭০ মিনিটেই যেন চোখ ছানাবড়া। বদলি হিসেবে নামলেন সেই আহত সবুজ। ইঞ্জুরিতে থাকার কারণে গত দুই দিন ধরে অনুশীলনের বাইরে থাকা সবুজ তাহলে মাঠে কেন?

সবুজই জানালেন নিজ মুখে, ’আমার খেলার কথা ছিল না। তবে কোচকে বলেছিলাম যদি ম্যাচে কোনও ফল না আসে তাহলে আমি নামবো। সেটাই করেছি। পায়ে ইন্জুরি নিয়েই খেলেছি। দলের জয়টাও দরকার ছিল। কারণ আমরা ফাইনালে খেলতেই এসেছি।’

নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা চলছিল। ম্যাচে বাকী দুই মিনিট। তখনও গোলের মুখ দেখেনি দু‘দল। অমনি ডি বক্সের অনেক বাইরে ফাঁকা বল পেয়ে যান বিশ্বকাপার ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস। বুটের অগ্রভাগ দিয়ে আচমকা শট নিলেন। বল চোখের পলকে গোল বার কাঁপিয়ে দিলো। বার থেকে ফিরতি বলে ‘ছুপা রুস্তম’ সবুজ পায়ের টোকায় বল জড়িয়ে আনন্দের জোয়াড়ে ভাসলেন। ভাসালেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আসা কয়েক হাজার সমর্থকদেরও।

তাই উদযাপনটাও হলো বাঁধভাঙা। গোল করেই জার্সি খুলে যেন দিশেহারা দেশের অন্যতম সেরা স্টাইকার। নিয়ম ভেঙে উদযাপনের মাশুলও অবশ্য দিতে হয়েছে হলুদ কার্ড পেয়ে।

বিজ্ঞাপন

সেদিকে নজর দেয়ার সময় কোথায়! এই এক মূল্যবান গোলেই যে লেখা হলো ম্যাচের ভাগ্য। ১-০ গোলে শেখ রাসেলকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের প্রথমবার অংশ নিয়েই ফাইনালে পা রেখেছে বসুন্ধরা কিংস ক্লাব।

এ জয়ে ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে ফাইনালে দ্বিতীয় দল হিসেবে পা রেখেছে বসুন্ধরা কিংস। ২৩ নভেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনাল একই ভেন্যুতে বিকেলে।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর