দেশে ফিরে যা জানালেন বিসিবি-এসিসি সভাপতি পাপন
২১ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:৪৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গত শনিবার (১৭ নভেম্বর) লাহোরে এসিসির এক বৈঠকে পাকিস্তানের এহসান মানির কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে পান নাজমুল হাসান। মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি। এশিয়া কাপের বার্ষিক সভা ও সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিসিবি ও এসিসি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে অনেকেই জড়ো হন। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় তাকে। ভিআইপি লাউঞ্জে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর গাজী গোলাম মুর্তজা, ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা প্রধান এবং জাতীয় দলের সাবেক দলপতি আকরাম খান, সাবেক পরিচালক ও অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নিজের লক্ষ্যের কথা জানান নাজমুল হাসান পাপন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশের ভালো পারফরম্যান্স সবার চোখে পড়েছে। তাই তারা এদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক আগ্রহী। তাছাড়া, বাংলাদেশের প্রতি এখন এসিসির মতো সংস্থাগুলোর অনেক প্রত্যাশা আছে। ক্রিকেটের সব জায়গায় এখন বাংলাদেশ নিজেদের অবস্থান মজবুত করেছে। অন দ্য ফিল্ড বলেন কিংবা অফ দ্য ফিল্ড, দুই জায়গাতেই আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমরা যেহেতু পারফর্ম করছি, সমস্ত জায়গাতেই আমাদের একটা আলাদা অবস্থান তৈরি হয়েছে।
এসিসি সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন। এর আগে ১৯৮৯-৯১ সালে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সেই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০০২-০৪ থেকে পর্যন্ত তৎকালীন বিসিবি সভাপতি আলী আসগর লবি এবং ২০১০-১২ পর্যন্ত আ হ ম মোস্তফা কামালও এসিসির সভাপতি ছিলেন।
এশিয়ান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নতুন সভাপতি হিসেবে নিজের চ্যালেঞ্জ নিয়ে পাপন জানান, গত চার-পাঁচ বছর ধরে এসিসির সঙ্গে আমি যুক্ত আছি। সংগঠনটি ইতোমধ্যে সঠিক পথেই আছে। গত কয়েক বছরে অনেক ভালো ভালো সিদ্ধান্ত আমরা একসঙ্গে নিয়েছি। অনেক টুর্নামেন্ট বেড়েছে। আমার প্রধান কাজটা হচ্ছে এসিসিকে সঠিক পথে রাখা। এটাই প্রথম দায়িত্ব, তবে প্রত্যাশা সব জায়গায় বেশি। দুই বছর পর পর এশিয়া কাপের আসর বসলেও এখন থেকে সেটি প্রতি বছর আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে এসিসি। অনূর্ধ্ব-১৯ লেভেলের টুর্নামেন্ট থাকবে, ইমারজিং কাপ করা হচ্ছে। এসব করা হচ্ছে এশিয়ার ক্রিকেটের ডেভলপমেন্টের জন্য। যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়ার দরকার ছিল সেগুলো আমরা সবাই একসাথেই নিয়েছি। অতএব আমরা ঠিক পথেই আছি।
বিসিবি সভাপতি কথা বলেন মাশরাফির আসন্ন সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা না খেলা নিয়ে। তিনি জানান, মাশরাফির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যখন খেলা থাকবে, সে খেলবে। এখনো তার কাছে ক্রিকেট সবার আগে। আমি এখন যেটা বলবো হুবহু সেটাই হবে তেমনটি নয়। সে নিজেও হয়তো এখন বলছে খেলবে। কিন্তু দেখা গেল ওই সময় হয়তো খেলতে পারল না একটা ম্যাচ। তবে আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি মাশরাফি সবগুলো ম্যাচ খেলবে।
সারাবাংলা/এমআরপি