ফর্মে থেকেই সাদমানের অভিষেকের অপেক্ষা
২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:১০
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নেই দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। কাঁধের ইনজুরিতে বিশ্রামে রাখা হয়েছে আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসকে। তাতে, মিরপুর টেস্টে ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের সঙ্গী হতে পারেন আরেক বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম অনীক। সেটা হলে বাংলাদেশের ৯৪তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হতে পারে সাদমানের। আগামী ৩০ নভেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দল ঘোষণার পরেই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন আভাস দিয়েছিলেন, চট্টগ্রামের প্রস্তুতি ম্যাচের দলে কেউ দারুণ করলে টেস্টে সুযোগ পেতে পারেন। শেষ পর্যন্ত সাদমান ইসলামের ভাগ্যেই শিকে ছিঁড়েছিল, প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের স্কোয়াডে ডাক পান এই ওপেনার। তবে, চট্টগ্রাম টেস্টে একাদশে সুযোগ মেলেনি। তাই অভিষেকটাও হয়নি। বাংলাদেশের ৯৩তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ক্যাপ পড়েছিলেন অলরাউন্ডার নাঈম হাসান।
সাদমান অনেক দিন থেকেই বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করছেন। ‘এ’ দলের হয়ে গত বছর আয়ারল্যান্ড সিরিজে ভালো করেছেন। এই বছর জাতীয় লিগে ছিলেন সর্বোচ্চ রান স্কোরার। ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে রান আউট হওয়ার আগে ২৩০ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৬৯ বলে করেন ৭৩ রান, তাতে ছিল ১০টি চার আর একটি ছক্কার মার। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটি গড়ে তোলেন ১২৬ রান। পরে ১৪তম সদস্য হিসেবে ডাক পান জাতীয় দলে।
বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটির সমস্যা আরও প্রকট হয়ে ফুটে উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে। এই সিরিজের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টে চার ইনিংসের একটিতেও ফিফটি করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ওপেনার। এমনকি বাজে ফর্মের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জায়গা হারিয়েছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব পালন করা লিটন দাস। ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ইমরুলের সঙ্গী হয়েছিলেন জাতীয় লিগে দুর্দান্ত ব্যাট করা সৌম্য সরকার। কিন্তু উদ্বোধনী জুটির সমস্যার সমাধান হয়নি। প্রথম ইনিংসে ইমরুল ৪৪ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ২। প্রথম ইনিংসে সৌম্য ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে বিদায় নেওয়ার আগে কোনো রান করতে পারেননি, আর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ১১।
প্রস্তুতি ম্যাচে সৌম্যর সঙ্গে দারুণ জুটি করায় ঢাকা টেস্টে সাদমানকে সুযোগ করে দিতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট। ২৩ বছর বয়সী এই ওপেনার প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৪২টি, লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন ৫১টি। টি-টোয়েন্টিতে নেমেছিলেন ৫টি ম্যাচে। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সাদমান ৪৬.৫০ ব্যাটিং গড়ে করেছেন ৩০২৩ রান, লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে করেছেন ৩৭ গড়ে ১৭৩৯ রান। প্রথম শ্রেণিতে সাদমানের নামের পাশে আছে ৭টি সেঞ্চুরি আর ১৬টি হাফসেঞ্চুরি, ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৮৯। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আছে দুটি সেঞ্চুরি ১০টি হাফসেঞ্চুরি, ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৪৪।
সবশেষ সাদমানের খেলা ১০টি ম্যাচে সেঞ্চুরি আছে তিনটি। ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের হয়ে খেলেছিলেন ৭৩ রানের ইনিংসটি। এছাড়া, বাকি নয়টি ম্যাচ ছিল প্রথম শ্রেণির। যেখানে সাদমানের ইনিংসগুলো ছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল), বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) আর বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে। ৯ ম্যাচে তার ইনিংসগুলো ছিল এমন-২৭, ১৪, ১, ৬৬, ১৮, ৭৮, ৩৬, ৬২, ১৮৯, ১৫৭, ৯, ১৯, ১, ১১২।
সারাবাংলা/এমআরপি