Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিজের নয়, দলের কথাই ভাবছেন মুমিনুল


২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:০৩

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

স্বপ্নের মতো একটা বছর যাচ্ছে মুমিনুল হকের। বছরের শুরুতে জোড়া সেঞ্চুরি, বছরের শেষে আবার দেশের মাটিতে জোড়া সেঞ্চুরি। বছরটা কীভাবে শেষ করতে চান মুমিনুল? এ নিয়ে বুধবার (২৮ নভেম্বর) মিরপুরে মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের। সেখানেই বলেছেন, নিজের ব্যক্তিগত অর্জনের কথা চিন্তা করতে চান না। বরং দলের জন্যই ভালো কিছু করতে চান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। সেটাই তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু পরের ম্যাচে সেই পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে যেতে চাইবেন নিশ্চয়। মুমিনুলের মাথায় আলাদা করে কোনো পরিকল্পনা নেই, ‘দেখেন কোনো সময় এভাবে চিন্তা করিনি যে বছরটা শেষ হবে ১০০ করে। হয়তোবা শেষ ম্যাচ ১০০ দিয়ে শেষ করতে চাইবো। আসলে ওইভাবে চিন্তা করলে পারফর্ম করাটা ডিফিকাল্ট। তো আমি সবসময় যে জিনিসিটা চিন্তা করি প্রত্যেক ম্যাচে অ্যাজ অ্যা প্লেয়ার টিমের জন্য কিছু করা। প্রত্যেক প্লেয়ারেরই ওইরকম ইচ্ছে থাকে যে টিমের জন্য কিছু করা। তো আমিও চেষ্টা করবো শেষ ম্যাচে এমন কিছু অবদান রাখতে যেটাতে আমার দলটা জিততে পারে। এইভাবে চিন্তা করলে আমার মনে হয় পারফর্ম করাটা ইজি হয়ে যায়।’

এই বছর চারটি সেঞ্চুরি করেছেন, ছুঁয়ে ফেলেছেন বিরাট কোহলিকে। আর কারও তিনটি সেঞ্চুরিও নেই। পরের ম্যাচেই মুমিনুলের কোহলিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি। সেটা মনে করিয়ে দিলে তিনি আগের কথাটাই বললেন, ‘আমি ওইভাবে চিন্তা করছি না যে আমার আরেকটা সুযোগ আছে। একটু আগে আমার প্রশ্নের উত্তরটায় হয়তো বা আপনি মোটামুটি ক্লিয়ার হয়ে গেছেন। আমি ওইভাবে চিন্তা করি না। আমি সবসময় চেষ্টা করি টিমের জন্য যতটুক করা যায়, ব্যাটিংয়ের সময় যত সেশন খেলা যায়, আমি যেভাবে প্ল্যান করি, আমার যে রুটিন ওইভাবে চেষ্টা করি। হলে হলো, না হলে…।’

বিজ্ঞাপন

তবে সেঞ্চুরি করেও সেটি ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে না পারার হতাশা থাকতেই পারে। মুমিনুল চট্টগ্রামেই বলেছিলেন, ভালো খেলতে থাকলে সেটি আসবেই। আজও সে কথাই বললেন, ‘ওইভাবে যদি আমি বেশি চিন্তা করি তাহলে জিনিসটা খুব চাপ হয়। কারণ আপনি যদি সবসময় চিন্তা করেন আমি ১৫০ করছি, ২০০ কেন করতে পারছি না? তো আমার কাছে মনে হয় আপনি যদি রেগুলার বেসিসে কাজ করেন, রেগুলার যদি প্র্যাকটিস করেন, হয়তো ওই জিনিসটা এক সময় না এক সময় আমি ওভার কাম করতে পারবো। তো আমি যদি শিখতে পারি যে ওই জায়গায় কি প্রবলেম হচ্ছে ওইটা অটোম্যাটিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর