এবার সাইফও আনলো জিপিএস প্রযুক্তি
২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:১৪
।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ফুটবলারদের মান বাড়াতে এবার জিপিএস প্রযুক্তি এনেছে দেশের পেশাদার লিগের অন্যতম দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ইতোমধ্যে অনুশীলনে এই জিপিএস গায়ে চাপিয়ে জামাল-জাফর-রহমতরা। এই আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সেবার আওতাধীনে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের পর দেশের ফুটবলে দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে নাম লেখালো সাইফ।
ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
ফুটবলারদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে এই প্রযুক্তি আনা হয়েছে বলে জানান তিনি, ‘গত মৌসুমের পর থেকেই এ বছর কোচিং স্টাফ, ব্যাকগ্রাউন্ড ইকুয়েপমেন্সের জন্য ম্যাক্সিমাম বরাদ্দের উপর জোর দিয়েছি। খেলোয়াড়রা যাতে ঠিকপথে থাকে, আন্তর্জাতিকমানের হয় সেজন্য চেষ্টা করছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ বছর প্লেয়ারদের চেয়ে দশগুণ বেশি খরচ করেছি এসব সরঞ্জমাদি ও কোচিং স্টাফ নিয়োগ দিতে।’
গতবছর দেশের পেশাদার লিগে নাম লেখানো এই ক্লাব দেশের তারকা ফুটবলারদের নিয়েই গেল মৌসুমে বড় বাজেটের দল সাজিয়েছিলো সাইফ। প্রথমবারেই এএফসি কাপ খেলেছে তারা। পরের মৌসুম এবার অনেকটা রহমত-জাফরদের মতো তরুণ তুর্কীদের নিয়ে দল গঠন করেছে সাইফ। তারকা ফুটবলার বলতে জামাল ভুঁইয়া আছেন।
তারকারাজি না গড়ে দেশের তরুণ ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক মানের হিসেবে তৈরি করতেই জিপিএস প্রযুক্তি এনেছেন বলে জানালেন নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ‘ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিসগুলো নিশ্চিত করতে চাই ফুটবলারদের। ম্যাচ বিশ্লেষণের জন্য ভালো সফটওয়্যার ব্যবহার করছি। সামনে আধুনিক আরও প্রযুক্তি নিয়ে আসবো ধীরে ধীরে পরিকল্পনা মোতাবেক।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ মারুফুল হক জিপিএস প্রযুক্তির উপযোগিতা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘এটা খেলোয়াড়দের জন্য অনেক জরুরি। ফুটবলারদের ফিটনেসের লেভেল, গতি, আন্তর্জাতিক মান থেকে কত পিছিয়ে সেটা দেখা যাবে এই পদ্ধতিতে। কত দ্রুত দৌড়ায়, কত জায়গায় কাভার করে, শারীরিকভাবে কত শক্তিশালী। এছাড়াও খেলোয়াড়দের টেকনিক্যাল মুভমেন্টগুলোও কেমন সেটা জানা যায়। মাথা-হাত-পায়ের মুভমেন্ট নির্ণয় করা যায়।’
সাইফ-আরামবাগ যখন ফুটবলারদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সেখানে বলতে গেলে বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম আক্ষেপের নাম দাঁড়িয়ে গেছে জিপিএস প্রযুক্তি। দেশের ক্লাবগুলোই যখন চোখে আঙ্গুল দিয়ে এর প্রয়োজনীয়তার কথা জানান দিচ্ছেন সেখানে বাফুফে এখনও স্বপ্নের ঘোরেই আছে।
সারাবাংলা/জেএইচ