স্ত্রীর মামলায় ফুটবলার মিন্টু এখন জেলে
২৯ নভেম্বর ২০১৮ ২০:৪৪
।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নারী নির্যাতনের যে আন্দোলন চলছে বিশ্বজুড়ে তারই মধ্যে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কিছুদিন আগে এ নির্যাতনের ঘটনায় এখনও আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর মাঝেই এবার আরেকটি ঘটনা সামনে এলো। নারী নির্যাতন মামলায় কেরানীগঞ্জের জেলে বন্দী রয়েছেন জাতীয় ফুটবলার ও বর্তমান মোহামেডান দলের অধিনায়ক মিন্টু শেখ।
তার প্রথম স্ত্রীর মামলায় গত ১৯ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছে মিন্টুকে। হাজারীবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজারীবাগ থানা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আট বছর আগে রুমা আক্তারকে সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মিন্টু শেখ। ছয় বছরের মেয়ে ও এক ছেলে আছে তার ঘরে। এর মধ্যে স্ত্রীর অভিযোগ- দ্বিতীয় বিয়ে করে কয়েকবছর ধরে ধানমন্ডিতে সংসার শুরু করেছেন এই ফুটবলার। দ্বিতীয় সংসারেও আছে এক ছেলে ও এক মেয়ে।
ধীরে ধীরে মাগুরায় থাকা প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে এক প্রকার বন্ধ করে দেয় মিন্টু। এরই মধ্যে প্রথম স্ত্রীও জেনে যান তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা। এই জেরে মাগুরাতেই মিন্টুর নামে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা দায়ের করেন প্রথম স্ত্রী।
হাজারীবাগ থানার এসআই অজয় কৃষ্ণ পাল এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মিন্টুর নামে নির্যাতন মামলায় থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। ১৯ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ঢাকার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এখন তিনি কারাগারে।
এদিকে ফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্টে পর থেকেই উধাও মিন্টু। টুর্নামেন্ট থেকে মোহামেডানের বিদায়ের পর আর ক্লাবে পা রাখেননি অধিনায়ক। ক্লাব সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে বিষয়টি।
দলীয় অধিনায়কের জেলে থাকার কথা অজানা নেই ক্লাব কর্তা থেকে খেলোয়াড়দের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মিন্টু কেরানীগঞ্জ জেলে আছে। অনেক দিন ধরেই ক্লাবের সঙ্গে ওর কোনো যোগাযোগ নেই।
২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ফুটবল দলের সোনা জয়ের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন সেন্টারব্যাক মিন্টু। বেশ কয়েক বছর ছিলেন জাতীয় দলের অন্যতম ডিফেন্ডার। দেশের বেশ কয়েকটি বড় ক্লাবে তিনি খেলেছেন।
সারাবাংলা/জেএইচ