এটা আমার জীবনের অন্ধকারতম দিন: মিতালি
৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৬
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
ভারতীয় নারী ক্রিকেটে একের পর এক বাজে ঘটনা বেরিয়ে আসছে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মিতালি রাজকে নিয়ে বিতর্ক থামারও কোনো লক্ষণ নেই। বরং তা আরও বেড়ে চলেছে। নারী দলটির কোচ রমেশ পাওয়ারের আনা অভিযোগের জবাবে মিতালি জানালেন, এটা তার জীবনের অন্ধকারতম মুহূর্ত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ চলাকালীন ভারতীয় নারী কোচ রমেশ পাওয়ার মিতালিকে এক ম্যাচে একাদশের বাইরে রাখেন। এমনকি ড্রেসিংরুমে তাকে অপমান করেছেন বলেও বোর্ডের কাছে নালিশ করেন মিতালি। একটি চিঠিতে মিতালি বোর্ডের কাছে আরও জানান, দলের কোচের পাশাপাশি সিওএ সদস্য ডায়না এডুলজি তার ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।
এদিকে, কোচ রমেশ পাওয়ার বোর্ডের কাছে এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানান, মিতালি ড্রেসিং রুমে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। এমনকি দলের জন্য নয়, মিতালি নিজের রেকর্ডকে সামনে বাড়িয়ে নিতেই ব্যাট করে। এসব কারণে মিতালির সঙ্গে কোচের সম্পর্ক ভালো ছিল না বলেও জানানো হয়। মিতালির ব্যাপারে বিভিন্ন অভিযোগ করে বোর্ডের কাছে রিপোর্টও জমা দিয়েছেন রমেশ পাওয়ার।
এতোসব হওয়ার পর মিতালি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আমাকে নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে, তা দেখে আমি মর্মাহত। ২০ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলছি। আমার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হতে পারে, কখনও ভাবিনি। আমার যাবতীয় পরিশ্রম, ঘাম ঝরানো যেন বৃথা। আমার দেশাত্ববোধ নিয়েও সংশয় তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমার ক্রিকেটীয় স্কিল নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। শুধু কাঁদা ছোড়াছুড়ি চলছে। এটা আমার জীবনের অন্ধকারতম দিন। ঈশ্বর আমাকে শক্তি দাও!’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো গড় ছিল মিতালির। তারপরও তিন ম্যাচ খেলে বাদ পড়েন একাদশ থেকে। তিন ম্যাচ খেলে তিনি করেছিলেন ১০৭ রান, দুই ম্যাচে ব্যাট করেছিলেন তিনি। যেখানে গড় ছিল ৫৩.৫০ আর স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৩.৮৮। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে নামা হয়নি মিতালির। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে মিতালি করেছিলেন ৪৭ বলে ৫৬। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে মিতালি করেছিলেন ৫৬ বলে ৫১ রান। এরপরই বাদ পড়েন স্কোয়াড থেকে।
জাতীয় দলের জার্সিতে মিতালি ১০টি টেস্ট, ১৯৭টি ওয়ানডে আর ৮৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে সাদা পোশাকে ৫১ গড়ে করেছেন ৬৬৩ রান, ইনিংস সর্বোচ্চ ২১৪। ওয়ানডেতে ৭টি সেঞ্চুরি আর ৫১টি হাফসেঞ্চুরি নিয়ে করেছেন ৬৫৫০ রান। যেখানে ওয়ানডেতে ছয় হাজার রান নেই আর কারো।
সারাবাংলা/এমআরপি