Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বাভাবিক খেলাই খেলতে চেয়েছিলেন সাদমান


৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:৫১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: অভিষেকেই বাজিমাত ঠিক বলা উচিত হবে না, সেঞ্চুরি পেলে কথাটা বলা যেত। তবে সাদমান ইসলাম যা করেছেন, সেটা করারই স্বপ্ন দেখেন কজন? প্রথম ইনিংসেই ৭৬ রান করে জানান দিয়েছেন নিজের সম্ভাবনা। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে ব্যাট করেন আজও তেমনই করতে চেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে যখন এলেন, প্রথমেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলো অনুভূতি। প্রথম সংবাদ সম্মেলনের জড়তার মাঝেও সাদমান গুছিয়েই বললেন বেশ, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। সবারই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলার। ডেব্যু টেস্ট। আমি চেষ্টা করেছি আমার দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার। হয়তো আমি ফুলফিল করতে পারিনি। যতটুকু হয়েছে….আশা করি পরবর্তীতে টিমের জন্য যেন কিছু করতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই রান করে চলছেন সাদমান। আজও যখন ব্যাটিং করেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ মাথায় নেননি, ‘আমি যেরকম ব্যাটিং করি আমি চিন্তা করেছি যে, বল আসবে…আমি যেভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি ঠিক সেভাবে এখানে খেলতে। আর কিছু আমি চিন্তা করিনি।’

জানিয়েছেন, মাঠে নামার আগে সাকিবসহ সিনিয়ররা তাঁকে নিজের খেলাটাই খেলতে বলেছিলেন, ‘উনারা তো আমার থেকে অনেক অভিজ্ঞ। আমাকে সব সময় বলছিল যে তুমি যেভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাটিং করো, তুমি যেগুলো পারো ওরকম ভাবেই খেল। এক্সট্রা কিছু করতে যেও না। তুমি সব সময় যেভাবে ন্যাচারাল শটস খেল ঠিক সেভাবেই তোমার খেলাটা খেল।’

এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচেই ফিফটি করে সুযোগ পেয়েছিলেন দলে। সাদমান সেটুও আবার বললেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে দিয়েছে। আমার ওদের বোলার সম্পর্কে জানা ছিল। আমি যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম শেষ ম্যাচে (প্রস্তুতি ম্যাচে), ওই পরিকল্পনা এখানে কাজে লেগেছে।’

বিজ্ঞাপন

তারপরও সেঞ্চুরি মিসের একটু আক্ষেপ কি নেই? সাদমান স্বীকার করলেন, ‘এমন কোনো হতাশা নেই ….একটু তো সবারই…ডেব্যু ম্যাচে সেঞ্চুরির চাওয়া তো সবারই থাকে। ওরকম কোনো হতাশা নেই। চেষ্টা করেছি দলের জন্য যতটুকু দেওয়ার দরকার ছিল আমি সেরকম ব্যাটিং করেছি। হয়তো পুরোটা করতে পারিনি। যেরকম দরকার ছিল শেষ করতে পারিনি। আমার মনে হয় আরেকটু দিতে পারতাম দলকে।’

বাবা শহীদুল ইসলাম বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্নট কমিটির সহ ব্যবস্থাপক। ছোটবেলা থেকেই তাই ক্রিকেটারদের কাছ থেকে দেখেছেন সাদমান। বাবার হাত ধরেই আসতেন মাঠে। আজ পারিবারিক একটা জরুরী পরিস্থিতির জন্য বাবা অবশ্য আসতে পারেননি মাঠে। সাদমান তাঁর কথাও স্মরণ করলেন, ‘বাবার ভূমিকা অবশ্যই আছে। আব্বু সব সময় ক্রিকেটে সহযোগীতা করেছে। আমি সব সময় ক্যাম্পে যেতাম। অনূর্ধ্ব ১৫-১৭ ক্যাম্পে সব সময় আমাকে নিয়ে যেত। তখন আমি ছোট ছিলাম। তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল খেলোয়াড় হবো। যেভাবে আব্বু খেলার জন্য বলছে ….আমি একাডেমি কিংবা স্কুল ক্রিকেট থেকে ওভাবেই তৈরি হয়েছি। আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে খেলার জন্য। কিভাবে খেলতে হয়, কিভাবে লাইফ সেট করতে হয় ক্রিকেটারদের ওগুলো আমাকে এখনও বলে। নিজেকে চেষ্টা করি ওভাবে রাখার। ’

সারাবাংলা/ এএম/জেএইচ

সাদমান

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর