২০১৮ সাল শেষে কেমন থাকবে টাইগারদের র্যাংকিং
৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৫৫
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
চলতি বছর আর কোনো দলের ওয়ানডে সিরিজ নেই, নেই কোনো মেগা টুর্নামেন্ট বা দ্বিপাক্ষিক, ত্রিদেশীয় সিরিজ। তাই বলা যায়, ২০১৮ সালের শেষ ওয়ানডে সিরিজ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-উইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজটি। বছর শেষে বাংলাদেশের র্যাংকিং পয়েন্ট কেমন দাঁড়াবে সেটা নির্ভর করছে আসন্ন সিরিজে। খুব একটা পরিবর্তন হবে না টাইগারদের র্যাংকিং চেহারায়। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে স্বাগতিকরা হোয়াইটওয়াশ করলেও খুব একটা লাফ দিতে পারবে না।
১৯৯৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশ মোট ৩১ ওয়ানডে ম্যাচে উইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে জয়ের পাল্লা ভারী ক্যারিবীয়ানদের দিকে। ২০ ম্যাচে জিতেছিল ভিভিয়ান রিচার্ডস, কোর্টনি ওয়ালস, কার্টলি অ্যামব্রোস, গ্যারি সোবার্স, ক্লাইভ লয়েড, গর্ডন গ্রিনিজদের উত্তরসূরিরা। বাংলাদেশ জিতেছিল ৯টি ম্যাচে। বাকি দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এবার টাইগারদের সামনে জয়ের সংখ্যাটা দুই অঙ্কে নিয়ে যাওয়ার পালা। জয়ের পাল্লাটা আরেকটু ভারী করার পালা। ক্যারিবীয়ানরা ৬৮.৯৬ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে, পক্ষান্তরে বাংলাদেশের জয়-পরাজয়ের হার ৩১.০৩ শতাংশ।
১৯৯৯ সালের ২১ মে প্রথমবারের মতো উইন্ডিজদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ডাবলিনের সে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৭ উইকেটের ব্যবধানে। মুখোমুখি প্রথম ১৩ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতা হয়নি লাল-সবুজদের। এর মধ্যে দুটি ম্যাচ কোনো ফল দেখেনি। একটি ২০০২ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রামে, অপরটি ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বেনোনিতে।
বাংলাদেশ ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জেতার স্বাদ পায় দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ১৪তম ম্যাচে। ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই ডমিনিকার সে ম্যাচটি টাইগাররা জিতেছিল ৫২ রানের ব্যবধানে। শুধু তাই নয়, উইন্ডিজ সফরে সেবার তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের দুটি ম্যাচে টাইগাররা জিতেছিল ৩ উইকেট এবং ৩ উইকেটের ব্যবধানে। এরপর থেকে দুই দলের ওয়ানডে ম্যাচে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯ ডিসেম্বর সিরিজের প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। একই মাঠে ১১ ডিসেম্বর হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। আর ১৪ ডিসেম্বর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ওয়ানডে সিরিজের সবকটি ম্যাচই দিবা-রাত্রির।
এ মুহূর্তে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সাত নম্বরে, রেটিং পয়েন্ট ৯৩। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে নয় নম্বরে, রেটিং পয়েন্ট ৭২। বাংলাদেশের ঠিক উপরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার রেটিং পয়েন্ট ১০০। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে যেতে পারবে না বাংলাদেশ, তবে রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে অজিদের আরও কাছে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।
৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করলে: তিন ম্যাচ সিরিজের তিনটি ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিলে বাংলাদেশের রেটিং বাড়বে কিন্তু অবস্থানের পরিবর্তন হবে না। আগের সাত নম্বরে থাকতে হবে। প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করলে তখন টাইগারদের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়াবে ৯৫, উইন্ডিজদের কমে হবে ৭০, থাকবে আগের সেই নয় নম্বরেই।
২-১ এ সিরিজ জিতলে: তাতে বাংলাদেশের রেটিং কিংবা অবস্থান এগুবে না। তেমনি নয় নম্বরে থাকা উইন্ডিজদের কোনো ক্ষতিও হবে না। বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট থাকবে এখনকার মতোই (৯৩), উইন্ডিজদেও তাই (৭২)।
৩-০ তে সিরিজ হারলে: তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ যদি হোয়াইটওয়াশ হয় তবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের অবস্থান থাকবে সাতেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান থাকবে নয়ে। কিন্তু ক্যারিবীয়ানদের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়াবে ৭৭ আর বাংলাদেশের কমে দাঁড়াবে ৮৮।
২-১ এ সিরিজ হারলে: এক্ষেত্রেও বাংলাদেশের রেটিং কমবে। অবস্থানের নড়বড় না হলেও টাইগারদের পয়েন্ট কমে হবে ৯০ আর উইন্ডিজদের বেড়ে দাঁড়াবে ৭৫।
সারাবাংলা/এমআরপি