সমান সমান সুযোগ দেখছেন মাশরাফি
৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:১৪
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের কাছে। ওয়ানডে সিরিজে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরছে বাংলাদেশ, অনেক দিন বাদে ওপেন করতে নামবেন তামিম ইকবাল। তবে ওয়ানডে সিরিজের আগে কাউকেই এগিয়ে রাখলেন না মাশরাফি বিন মর্তুজা। দুই দলেরই সমান সমান সুযোগ আছে মনে করছেন।
মাস চারেক আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতে এসেছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ওয়ানডেতে এমনিতেই এগিয়ে থাকার কথা। প্রস্তুতি ম্যাচে তামিম-সৌম্যর ব্যাটিংও আরও বেশি আত্মবিশ্বাস দেবে বাংলাদেশকে। তবে মাশরাফি মনে করছেন, ওয়ানডেতে কাজটা সহজ হবে না, ‘আমি বলবো সমান সুযোগ। কারণ যেটা বললাম যে, ওদের দলে, দুর্দান্ত একজন ফাস্ট বোলার আছে যে জোরে বোলিং করবে। যেটা হয় যে, জোরে বোলারদের অনেক সময় হুটহাট করে উইকেট পড়ে গেলে শুরুতে চাপ আসলো, তাই এই জায়গাগুলো চিন্তা করার ব্যাপার আছে।’
তবে বাংলাদেশের চেয়ে কিছু জায়গায় উইন্ডিজরা এগিয়ে বলে মন্তব্য করেন মাশরাফি, ‘ওরা কিছু আমাদের থেকে অনেক বেশি সাহায্য পাবে, ওদের মাসল পাওয়ার যেটা আছে। যেটা এই ধরনের ফরম্যাটে খুব বেশি কাজ করে। বিশেষ করে ৪০ ওভার পর্যন্ত যে ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতা আছে। তাই ওরা যেন জুটি বড় করতে না পারে সেদিকটাও আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। এমনি এমনি তো জেতা সম্ভব না। অবশ্যই হোম ওয়ার্ক, একইসঙ্গে মাঠে বাস্তবায়নটা শতভাগ ঠিক থাকতে হবে। অন্তত ৮০ ভাগ ঠিক থাকলে হয়তো বা ভালো ম্যাচ হবে। আমি আশা করছি না যে টেস্টের মতো বা আগে পরে যেসব ম্যাচ জিতে আসছি এত সহজ হবে।’
ওয়ানডেতে এখনই সিরিজ জয়ের চিন্তা করছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বরং এগুতে চান একটা একটা ম্যাচ ধরে, ‘এখনও ওয়ানডে একটাও শুরু হয় নি, হোয়াইটওয়াশ তো মাথায় আসার সুযোগ নাই। তবে প্রথম ম্যাচটা ইমপরটেন্ট (গুরুত্বপূর্ণ), দেখা যাক কাল কেমন হয়। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসলে, মাসল পাওয়ার তাদের অনেক বেশি। এই ধরনের ফরম্যাটে একজন দুইজন কিন্তু গেইম চেইঞ্জ করে, রিসেল্টলি। এই জায়গাটায় ওদের কয়েকজন আছে এমন, ডিস্ট্রয় করতে পারে। আমাদের ওদের বিপক্ষে এই পার্টটা খেয়াল রাখা ইম্পরটেন্ট। তবে আসলে তিনটা ম্যাচের কথা তো এখনই বলা যায় না। ওদের জন্য ফরম্যাট যত ছোট হবে তত বেশি সুট করবে। আমার কাছে মনে হয় প্রথম ম্যাচের দিকেই ফোকাস থাকাই বেটার।’
তামিম-সাকিবের থাকাটাও বড় একটা স্বস্তি হিসেবে মানছেন মাশরাফি, ‘সাকিব-তামিম দলে থাকা আমাদের জন্য বিরাট অ্যাডভান্টেজ। প্রস্তুতি ম্যাচেও তামিম দারুণ খেলেছে, এটা তামিমের জন্যও স্বস্তি, আমাদের জন্যও স্বস্তি। আমি একইসঙ্গে বলব যে, ইনজুরি থেকে আসা এবং এসে পারফর্ম করা কিন্তু সময়ের ব্যাপার। তামিমের আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছে বলে প্রত্যাশা করতে পারেন না যে পরের ম্যাচে নেমেও এক্সট্রা অর্ডিনারি ইনিংস খেলবে। আবার এর থেকে বেটারও খেলতে পারে, খারাপও হতে পারে। চোট থেকে ফিরলে কিন্তু বেশ কিছু দিন লাগে মানিয়ে নিতে। দুইমাস থেকে আড়াইমাস পর্যন্ত বাইরে ছিল। সো এটা গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব হয়ত টেস্টে কিছু…দুইটা টেস্ট ম্যাচ খেলে কিছুটা মানিয়ে নিয়েছে। তামিমের হয়ত কিছুটা সময় লাগতে পারে। কিন্তু ওরা দুইজন থাকা আমাদের জন্য, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যাপার।’
সারাবাংলা/ এএম