‘জবাব নয়, এই পারফরম্যান্স স্বাভাবিক’
১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৯:৪১
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
মিরপুর: মাশরাফি বিন মুর্তজার জন্য এই ম্যাচটা ছিল অন্যরকম। সেটি তাঁর ওয়ানডেতে দুইশতম ম্যাচ বলে নয়। গত কিছুদিনে খেলার বাইরেও রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখা নিয়ে আলোচিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। গত সপ্তাহেই রাজনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। রাজনীতিতে নামার পর ক্রিকেটে কতটা মনযোগ দিতে পারবেন- সেই প্রশ্ন সেখানে বার বার এসেছে। রোব বার মিরপুরে প্রথম ওয়ানডের পর সেই প্রশ্নের উত্তরটা সবারই পেয়ে যাওয়ার কথা। বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাশরাফিই। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলন এই পারফরম্যান্সটা কোনো জবাব হিসেবে দেখেননি। বরং এটা স্বাভাবিক ব্যাপার হিসেবেই দেখছেন।
সামনের সাধারণ নির্বাচনে নড়াইল থেকে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই মাশরাফি আলোচনার শীর্ষে। এর মধ্যে ক্রিকেট থেকেও দূরে ছিলেন কিছুদিন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর আর মাঠে নামা হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে প্রথম ওয়ানডের আগে নিজে মানসিকভাবে কতটা ফোকাসড আছেন সেই প্রশ্ন উঠেছিল। আজকের পর অবশ্য সব উত্তর দেওয়া গেছে। মাশরাফি অবশ্য এই পারফরম্যান্স কোনো জবাব হিসেবে দেখছেন না, ‘না আসলে জবাবের কি আছে, জবাবের কিছু নেই। খারাপ হলে কথা বলতো। এটাই স্বাভাবিক কিন্তু জবাব দেয়ার কিছু নাই। ১৮ বছর ধরে খেলছি এতো সহজে ফোকাস সরার তো কথা না। প্রত্যেকটা মানুষ নিজেকে খুব ভালো করে চেনে, আমি জানি না সবাই চিনে কিনা কিন্তু আমি নিজেকে চিনি, সো এত সহজে আসলে ফোকাস সরার কথা না। আর লাস্ট কিছু দিন তো আমি নিজেই চেষ্টা করে যাচ্ছি, বলটা যেখানে করতে চাই সেখানে ঠিক মতো করতে পারছি কিনা অনুশীলনে। আর জবাব টবাবের কিছু নাই। ’
তবে মানসিকভাবে ঠিক থাকলেও শারীরিকভাবে এখনো পুরোপুরি ঠিক নেই। সর্বশেষ গত শুক্রবার বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন হ্যামস্ট্রিংয়ে। মাশরাফি বলছেন, সেই চোট নিয়েই আজ নেমেছেন মাঠে, এখনো অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি, ‘আমি শেষ ম্যাচেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছি। ফিটনেস টেস্ট দিইনি আজকে, তৈরি ছিলাম খেলার জন্য। এখন পর্যন্ত একই অবস্থায় আছে।তিন উইকেট পেয়েছি বলে যে একেবারে বেস্টে আছি তা না। সাথে আরও একটা ইনজুরি যোগ হয়েছে হ্যামস্ট্রিংয়ের, যেটা আমার নরমালি ছিল না। শারীরিক ভাবে য জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে খুব ভালো আছি তা না।’
বাংলাদেশের হয়ে শততম ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মাশরাফি। নিজের ২০০তম ম্যাচে আবার সেই একই কীর্তির পুনরাবৃত্তি। ব্যাপারটা কি কাকতাল? মাশরাফি তা মনে করেন না। তবে বললেন, ‘১০০তম ম্যাচেরটা মনে আছে বোধহয় ইন্ডিয়ার সাথে ম্যাচটি ছিল, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচটা ছিলো। এটা অনেক দিন অনেক ছিল, এখনও আছে। আজকেরটা তো রিসেল্টলি হলো, ভোলার তো সুযোগ নাই। আসলে দুনিয়ায় কাকতালীয় বলে কিছু নাই, আমরা বানাই। ঘটনা ঘটে এই আর কী। ’
মাশরাফি নিজের অর্জনটা বড় করে দেখছেন না বলে হয়তো কথাটা বলেছেন। তবে এই পারফরম্যান্স যে অনেক সমালোচনার জবাব, সেটা না বললেও চলে।
সারাবাংলা/ এএম