Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভারতে হয়েছে, নেপালে হচ্ছে, বাংলাদেশে কবে?


৪ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:০৭

।। জাহিদ-ই-হাসান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: ‘বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যত কি?’ প্রশ্নটা এভাবে বললেও ভুল হবে না আশা করি। কারণ এই প্রশ্নটা অবিবেচক নয়। বরং সম্পূরক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার দূরদর্শিতার অভাবেই দেশের ফুটবল পেছাচ্ছে যেখানে প্রতিবেশিদেশসহ বিশ্বব্যাপী ফুটবলকে এগিয়ে নিতে নানান পরিকল্পনায় সাজানো হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল। সেখানে কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ!

দেশের ফুটবলের উন্নতির ছাপটা র‌্যাঙ্কিংয়ে সুস্পষ্ট। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য দেখিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় নাহলেও সম্মানজনক অবস্থানে ছিলো সেখানে এখন ১৯০ ঘরেই দৌড়-ঝাপ করছে। ফুটবল দূরদর্শিতার অভাবে অনেক পরিকল্পনাই ভেস্তে গেছে এ দেশে। গোছালো যেমন চিন্তা নেই, তেমনি নেই কোনও কার্যকরণ উদ্যোগও!

পরিসংখ্যানে নয় বরং মানের মানদণ্ডেও তুলনামূলকভাবে দক্ষিণ এশিয়ান জোনে প্রভাব হারিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরোয়া ফুটবলকে উন্নত করতে যেমন প্রতিবেশি দেশগুলো নানান উদ্যোগ নিয়ে হাজির হচ্ছে সেখানে ঠিক ‘সনাতন’ ও ‘দায়সাড়া’ উদ্যোগ জনতার কাঠগড়ায় প্রশ্নবিদ্ধ করছে দেশের ফুটবল অভিভাবকদের।

প্রতিবেশি রাষ্ট্র নেপালের কথাই ধরুন। ঘরোয়া ফুটবলের মান বাড়াতে ভারতের আইএসএলের মতো নেপাল সুপার লিগ চালু করতে চলেছে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা)। আগামী বছর থেকে দেশটির সাতটি প্রাদেশিক দল নিয়ে ফ্র্যাঞ্জাইজিভিত্তিক লিগ শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে চুক্তি সেড়েছে দেশটির ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। দেশের ‘এ’ বিভাগের ১৪০ জন খেলোয়াড়কে সাতটি দলে লটারির মাধ্যমে বণ্টন করে লিগ শুরু হবে এপ্রিল-মে‘তে। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার সঙ্গে অনুমতির বিষয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে আনফা। এ লিগে বিদেশি ফুটবলারদের খেলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দূরদর্শি পরিকল্পনা নিয়ে নেপাল যখন গা ঝেড়ে জেগে উঠছে সেখানে ঝিমিয়ে আছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সাফ শিরোপা খরায় চলছে দেশের ফুটবল। এবারও সেই নেপালের কাছে হেরেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

তারপরেও টনক নড়ে না বাফুফের। যদিও ১৬ কোটি মানুষের এ দেশেও একবার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের উদ্যোগ নিয়েই মাঝপথে মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়েছে। বাংলাদেশ সুপার লিগের (বিএসল) স্বত্ব কিনে আনুষ্ঠানিকভাবে দু’বছর আগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে লোগো উন্মোচনের পরেও ‘ডুমুরের ফুলের’ মতো হাওয়া হয়ে গেছে এই উদ্যোগ!

কিন্তু প্রতিবেশি দেশ ভারতের কথাই ভাবুন। গেল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় টুর্নামেন্টে বয়সভিত্তিক দল পাঠিয়ে দিয়েছিল ভারত। সেই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলেছিল প্রতিবেশি দেশটি। তাদের নজর এখন বিশ্বকাপে। ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু করা ভারত নিজেদের ঘরোয়া ফুটবলকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। তারই প্রতিফলন এএফসি কাপ। উন্নতির ছাপ র‌্যাঙ্কিংয়েও। এখন দুই ঘরে (৯৭) অবস্থান করে তারা।

রাজ্যে রাজ্যে ফুটবল একাডেমি করে পাইপলাইনকে শক্ত করছে ভারত। তারই প্রমাণ অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন ও অংশগ্রহণ।

এ দেশে হয়তো সবই সম্ভব! দূরদর্শিতার অভাবকেই দুষছেন দেশের ফুটবল সমর্থকরা। ভারতে চার বছর আগে হয়েছে। নেপালেও শুরু হচ্ছে, বাংলাদেশ ঠিক কতো পরে গিয়ে গা ঝাড়া দিবে?

সারাবাংলা/জেএইচ

আরও পড়ুন:

ফের পেছানোর শঙ্কায় বিপিএল!

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর